ব্যুরো: পোর্টের জমি জবরদখলকে কেন্দ্র করে খণ্ডযুদ্ধের ২৪ ঘণ্টা পরেও এখনও গ্রেফতার হয়নি কেউই। প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। এফআইআর-এ নাম রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি শ্রীকান্ত মোহতার সংস্থা শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মের নামও। মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ, তাই কি গ্রেফতারিতে টালবাহনা? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। এফআইআর-এ নাম রয়েছে অ্যাভেরি ইন্ডিয়ারও।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খাস কলকাতায় জমিযুদ্ধ। যুযুধান দুপক্ষের একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা পোর্ট ট্রাস্ট, অন্যদিকে শাসক ঘনিষ্ঠ চিত্রনির্মাতা। সাতসকালে বেদখল জমি পুনরুদ্ধার করল বন্দর কর্তৃপক্ষ। দুঘণ্টার মধ্যেই সেই জমি ফের জবরদখল হয়ে গেল। দুবারই ফয়সালা হল বিনা রক্তপাতে। লোহার দরজার ভিতরে এই একখণ্ড জমি ঘিরেই পনেরো বছরের আইনি লড়াই। আর এই জমিতেই হয়ে গেল জমিযুদ্ধ। 


খাস কলকাতায় জমিযুদ্ধ। কেন্দ্রীয় সংস্থা V/S শাসকদল  ঘনিষ্ঠ চিত্রনির্মাতা বেদখল জমি পুনরুদ্ধার। উদ্ধার হওয়া জমি ফের জবরদখল। বেদখল জমি পুনরুদ্ধারে  আইন মেনেই এগোতে চেয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ।


গতকাল, সকাল ৬.৩৫। স্টেট অফিসার শুভ্রকুমার ধরের নেতৃত্বে তারাতলা থানায় যান বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে জেনারেল ডায়রি করতে চান তাঁরাঅভিযোগ, ওসির সঙ্গে কথা বলার নামে গড়িমসি করেন ডিউটি অফিসার ।বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, গড়িমসি দেখে জিডি না করেই তারা ঘটনাস্থলে যান 


প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন বন্দরের পঁয়ত্রিশজন লাঠিধারী নিরাপত্তারক্ষী। সেইসময় ওই জমি পাহারা দিচ্ছিল ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের সাত নিরস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী। বিনা বাধাতেই ছটা পঁয়ত্রিশের মধ্যে জমি পুনরুদ্ধার করে ফেলে বন্দর কর্তৃপক্ষ


জমি পুনরুদ্ধার হয়ে গেছে এই মর্মে ছটা পঁয়তাল্লিশে তারাতলা থানায় জিডি দায়ের করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, এই দখলদারি বেশিক্ষণ টেকেনি। 


সাড়ে আটটা নাগাদ পাঁচিলের বাইরে জমা হয় ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের লোকেরা। গেট না খোলা হলে, তাদের কয়েকজন পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ে
তারাই দরজা খুলে দিলে লাঠিসোটা নিয়ে ভেতরে ঢোকে বেশ কয়েকজন। বিনা রক্তপাতেই পুনর্দখল হয়ে যায় পোর্টের জমি 


এরপর জমি দখলের খবর করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে সংবাদমাধ্যম। কয়েকজন সাংবাদিককে ভিতরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। ক্যামেরা কেড়ে ডিলিট করে দেওয়া হয় ফুটেজ। সূত্রের খবর, গোটা অপারেশনের সময় স্টুডিওয় উপস্থিত ছিলেন ভেঙ্কটেশের অন্যতম কর্ণধার মহেন্দ্র সোনি।