জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন জল্পনা। বাংলায় বিকল্প রাজনীতি চাই। এমন পোস্টারে ছয়লাপ শ্যামবাজার, গড়িয়াহাট, পার্ক সার্কাস। পোস্টার পড়েছে জেলাতেও। রাজীব গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তির পাশাপাশি কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবনেও দেখা গেল ওই পোস্টার। সেইসব পোস্টার ছিঁড়ে ফেললেন কংগ্রেস সমর্থকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে নন্দিনী, মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব নিলেন বি পি গোপালিকা


কংগ্রেস কর্মীরা কেন ওই পোস্টার ছিঁড়ে ফেললেন? কৌস্তভ বাগচী কয়েকদিন ধরেই বলে বেড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানোই কংগ্রেসের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। তারই কি প্রতিফলন ওই পোস্টারে? হাজরায় ইন্দিরা গান্ধী যে মূর্তি রেয়েছে তার পায়ের নীচে, বিধান ভবনে পড়েছে ওই পোস্টার। একটাই দাবি বিকল্প রাজনীতি চাই। বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই বিকল্প রাজনীতির কথা শোনা যাচ্ছিল কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর মুখে। ওই পোস্টার সামনে আসার পর কৌস্তভ বাগচী বলছেন, বিকল্প রাজনীতির কথা তিনি আগামী দিনেও বলবেন। মানুষ যদি তা গ্রহণ করে পোস্টার দেন তাহলে তিনি তার জন্য গর্বিত। কৌস্তভের কথায় স্পষ্ট যে বাংলায় বিরোধী রাজনীতির যে পরিসর তা অনেকটাই ফাঁকা। তাঁর ইঙ্গিত প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের দিকে। অর্থাত্ যে ভাবে কংগ্রেস আন্দোলন করেছে তাতে মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না। তাই বিকল্প রাজনীতির পোস্টার।


নতুন বছরে লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে ঠেকাতে তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু রাজ্য়ে বিজেপি বিরোধিতা করতে গিয়ে কংগ্রেস কি তৃণমূলের পাশে দাঁড়াবে? এনিয়েই চলছে জল্পনা। তখন উঠে আসছে বিকল্প রাজনীতির তত্ব। এই ঘটনায় কি কংগ্রেসের অন্দরের অসন্তোষ বেরিয়ে আসছে? উল্লেখ্য, বেশকিছু দিন ধরেই আলোচনার চর্চায় রয়েছে রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও জোট হবে কিনা? রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা বারবার দিল্লি ছুটে যাচ্ছেন। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের কিচু নেতা বলছেন বাংলার তাঁরা একলা চলতে চান। গতকালই অধীর চৌধুরী বলেছেন বাংলায় কংগ্রেস একা লড়ার ক্ষমতা রাখে। কৌস্তভ বাগচীর আপত্তি এখানেই। দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বসছে আর রাজ্যে অন্য চিত্র। এই রাজনীতি মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না।


বাংলায় বিকল্প রাজনীতি নিয়ে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন, বর্তমানে বিরোধী রাজনীতির পরিসর সেখানে সেখানে একটা বড় ফাঁক রয়েছে। কংগ্রেসের কথা বললে, জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় আমরা বাংলায় একটা ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হয়েছি। কখনও সিপিএমের সঙ্গে জোট, কখনও তৃণমূলের সঙ্গে, কখনও আবার একা লড়া। এতে একটা বিভ্রান্তি বাড়ছে। মানুষের মধ্যে একটা নেগেটিভ চিন্তা চলে আসছে। সিপিএম সাত তারিখে ব্রিগেডে একটা বড় সভা করবে। কিন্তু ভোট রাজনীতির ক্ষেত্রে তা তাদের সমর্থকদের উপরে বড় আঘাত করবে। বিজেপির একটা অংশ বুঝতে পারেছে না তাদের নেতৃত্ব আসলে কী চায়। এই যে বিশাল ফাঁক বা শূন্যস্থান সেখান থেকেই তৈরি হয় বিকল্প রাজনীতির কথা।


এনিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, কোনও জল্পানার মধ্যে আমরা নেই। তৃণমূলের মধ্য় মারামারি আরও বাড়বে। যারা ধান্দার জন্য দলে এসেছে তাদের তো কোনও আদর্শ নেই! ফলে ধান্দাবাজি চলতে চলতে একটা সময় বিস্ফোরণ ঘটবে। নিজেদের মধ্যে ফাটল বাড়বে। কে কখন জেলে যাবে তার জন্য অপেক্ষা বাড়বে। এসবই চলছে তৃণমূলে।


বিকল্প রাজনীতি নিয়ে তৃণমূল আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, শিয়ালদহের মোড়ে চারটে পোস্টার দিলেই বিকল্প রাজনীতি চলে আসবে? নাকি বিকল্প রাজনীতির জন্য একটা নীতি আদর্শের দরকার! যারা বিকল্প রাজনীতি করতে চায় চান তাদের তো সাহসের দরকার রয়েছে। বিকল্প রাজনীতির পোস্টারের কোনও দাবিদার নেই। কৌস্তভ বাগচী তো লিখে দিতে পারতেন, সৌজন্যে কৌস্তভ বাগচী। কংগ্রেস-বিজেপির যেসব অতৃপ্ত আত্মরা রয়েছেন তারা হয়ে বিকল্প রাজনীতির পোস্টার দিয়েছেন।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)