নিজস্ব প্রতিবেদন : অগাস্টের শুরুতে জ্যোতি আলুর দাম ছিল ২৬ টাকা । আজ তা বেড়ে হয়েছে ৩২ টাকা। চন্দ্রমুখীর দাম ছিল ২৮ টাকা। আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা। জুলাইতে জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী আলুর দামের ফারাক ছিল ৬ টাকা । সেই ফারাক অগাস্টে কমে দাঁড়িয়েছে ২ টাকা। গত ৭২ ঘণ্টায় পোস্তা বাজারে বস্তা পিছু জ্যোতি আলুর দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা। আলুর এভাবে ঊর্ধ্বমুখী দামে মাথায় হাত মধ্যবিত্ত আম বাঙালির। একেই বাজারে সেভাবে সবজির কোনও দেখা নেই। তারউপর আলুর দামও চড়চড়িয়ে বাড়ছে। সবমিলিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় সাধারণ গৃহস্থের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু হঠাৎ আলুর দাম এভাবে ঊর্ধ্বমুখী কেন?


দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বর্ষার বৃষ্টি একেবারে শেষ ইনিংসে শুরু হয়েছে। এখন চালিয়ে ব্যাট করছে বর্ষা। কিন্তু প্রথমদিকে বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতি ছিল। বিশেষত যার জেরেই সবজির ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বাজারে এখন আনুষঙ্গিক আর কোনও সবজির যোগান সেভাবে প্রায় নেই বললেই চলে। তাই ক্রেতার নজর আলুর দিকে। আলুর চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু এদিকে আলুর যোগানও বাড়ানো যায়নি। কারণ এরাজ্যের আলু আবার রফতানি হচ্ছে ওড়িশা, অন্ধ্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং অসমে। সবমিলিয়ে যত চাহিদা সেই অনুপাতে যোগান না থাকাতেই বাড়ছে দাম।


আলু ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম আপাতত কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ হুগলিতে নতুন আলুর ফলন হবে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। আর ওদিকে বৃষ্টি চলতে থাকলে অন্য সবজির চাষ ব্যাহত হবে। ফলে বাজারে পর্যাপ্ত অন্য সবজির যোগান দিতে ব্যর্থ হবে দক্ষিণবঙ্গ। যার ফলে আরওই আশঙ্কা ছড়িয়েছে। চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের কপালে।


আরও পড়ুন, 'সিদ্ধান্ত শোভনের হাতে', রাতেই বাড়ি ছুটলেন অরবিন্দ মেনন, দু'পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ বৈঠক