নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলকে ২০২১ সালের ভোট বৈতরণী পার করার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন নির্বাচনী রণনীতিকার। ওই বৈঠকে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে প্রশান্ত একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন বলে খবর। এদিনও বৈঠকে কয়েকটি টোটকা দিয়েছেন বলে খবর।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে দাপাদাপি বেড়েছিল গেরুয়া শিবিরের। ভোটের ফলপ্রকাশের পর একধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে বিজেপির আত্মবিশ্বাস। ১৮টি আসন নিয়ে শাসক দলকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তারা। শুধুমাত্র সেখানেই থামেনি মোদী-শাহের দল। ভাটপাড়া, দার্জিলিংয়ের মতো একের পর এক পুরসভার কাউন্সিলর ভাঙিয়ে নিয়েছে তারা। এমনকি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদেও সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি। এমন পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের আগে নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের শরণাপন্ন হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬ জুন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রশান্ত। 



বৃহস্পতিবার ফের নবান্নে এলেন প্রশান্ত কিশোর। মমতা-প্রশান্তের বৈঠকে ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। নরেন্দ্র মোদী থেকে নীতীশ কুমারের নির্বাচনী রণনীতিকার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি অন্ধ্রপ্রদেশে জগন্মোহনের সঙ্গেও কাজ করেছেন প্রশান্ত। সে রাজ্যে বিরাট জয় পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন জগন্মোহন। ১৭৫টি বিধানসভার মধ্যে ১৫০টি আসনই জিতেছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস।    


ইতিমধ্যে বাংলায় কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশান্তের সংস্থা। যুব সম্প্রদায়কে রাজনীতিতে যোগদানের বার্তা ঘুরছে ফেসবুকে। সেখানে একটি ফর্ম পূরণ করলেই আসছে একটি এসএমএস। তাতে থাকছে একটি লিংক।




উত্তরপ্রদেশে প্রশান্তকে দায়িত্ব দিয়েও ভরাডুবি হয়েছিল কংগ্রেসের। ফলে সাফল্যের সঙ্গে ব্যর্থতাও রয়েছে তাঁর। বলাই বাহুল্য, বাংলায় ২০২১ সালের আগে একাধিক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে রয়েছে প্রশান্তের জন্য।


আরও পড়ুন- বিকাশপুরুষ থেকে সুশাসনবাবু, সাত ঘাটের জল খেয়ে এবার তৃণমূলে,কে এই প্রশান্ত?