কলকাতা: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে আচমকা বদলির নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর।  হঠাত্‍ই রেজিস্ট্রার প্রবীর দাশগুপ্তকে  দুর্গাপুরে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্সিতে হামলার  ঘটনায় শাসক দলের রোষের মুখে পড়েছিলেন রেজিস্ট্রার।  প্রকাশ্যেই তাঁকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবারে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর প্রবীর দাশগুপ্তের হঠাত্‍-বদলি  নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছেবিভিন্ন মহলে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় প্রকাশ্যে মুখ খুলে শাসক দলের রোষের মুখে পড়েছিলেন রেজিস্ট্রার প্রবীর দাশগুপ্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবারে সেই প্রবীর দাশগুপ্তকেই হঠাত্‍ রেজিস্ট্রার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর।


প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সময়ই সেখানকার অধ্যাপক পদ থেকে লিয়েন নিয়ে রেজিস্ট্রার পদে যোগ দিয়েছিলেন প্রবীর দাশগুপ্ত। পাকাপাকি ভাবে রেজিস্ট্রার পদে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্প্রতি অধ্যাপক পদ থেকে ইস্তফাও দেন তিনি। কিন্তু সেই ইস্তফা মঞ্জুর না করে উল্টে তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুর গভর্মেন্ট কলেজে।  হঠাত্‍ এই বদলি ঘিরেই এবারে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।   প্রশ্ন উঠছে কেন তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করা হল না। কারণ এক্ষেত্রে সরকারের দেওয়া অপশন ফর্ম পূরণ করেই রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন প্রবীর দাশগুপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তাঁকে সেই পদের উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। অথচ তিনিই যখন পাকাপাকি ভাবে থাকতে চাইলেন তখনই সরকার তাকে অন্যত্র বদলি করে দিল।


প্রেসিডেন্সিতে হামলার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নিরাপত্তা কর্মী পাপ্পু সিংকে নিশানা করলেও তাঁর সমর্থনে দাঁড়িয়েছিলেন প্রাবীর দাশগুপ্ত। সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।


সেই রাজরোষেই শেষপর্যন্ত প্রবীর দাশগুপ্তকে প্রেসিডেন্সি ছাড়া করা হল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকদের একাংশ।