নিজস্ব প্রতিবেদন : অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের হাতে সাম্মানিক ডিলিট সম্মান তুলে দেওয়া হল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে ২০০ বছরের  প্রথা ভেঙে এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ডিরোজিত হলে না হয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নন্দন ৩ প্রেক্ষাগৃহে। সেখানেই বর্ষীয়ান অভিনেতার হাতে এই সম্মান তুলে দেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অনুরাধা লোহিয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্মান গ্রহণ করে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ছাত্রজীবন থেকে কলেজজীবন, নিজের লেখনীতে স্মৃতিচারণায় উঠে আসে অনেক কথাই। প্রেসিডেন্সি কলেজ পরববর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষায়নটিকে তার মেধার উত্কর্ষতার জন্য স্যালুট জানান তিনি। বলেন, ছোটোবেলা থেকেই কলেজ স্ট্রিট পাড়ার এই 'বাড়িটির' দিকে 'শঙ্কা মিশ্রিত সম্ভ্রম' নিয়ে তাকাতেন তিনি।


আরও পড়ুন, সাপের সঙ্গে ঘর! মাটি খুঁড়তেই বেরল ৩০-৩৫টি...


কিন্তু শঙ্কা কীসের? নিজের ব্যক্তব্যে তার ব্যাখ্যাও এদিন দেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। বলেন, তাঁর দাদা প্রেসিডেন্সিতে পড়েছেন। কিন্ত তিনি পড়ার সুযোগ পাননি। তাঁর ছোটো থেকেই তিনি দেখে আসছেন, সেরা সেরা ছাত্রছাত্রীরাই প্রেসিডেন্সিতে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। সেই উত্কর্ষতা প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই শঙ্কিত হতেন তিনি।  


দীর্ঘ ৬০ বছরের উপর সময়কাল অভিনয়, আবৃত্তি, নাটক প্রভৃতি বিভিন্ন শিল্পকলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। যদিও এদিন সাম্মানিক ডিলিট পাওয়ার পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, তিনি এই সম্মান পাওয়ার উপযুক্ত কিনা, তা তিনি নিজে জানেন না। বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, "আমার অভিনয় যদি একজনের মুখেও হাসি ফুটিয়ে থাকে, একজনকেও বেঁচে থাকতে সাহায্য করে থাকে, সেটাই আমার শিল্পীসত্তার সবচেয়ে বড়় স্বীকৃতি।"


আরও পড়ুন, প্রত্যেক পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


এদিন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পূর্বসূরী শিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধা ঝরে পড়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের গলায়। এই সম্মানকে তাঁর উত্তরসূরীদের উদ্দেশেই উত্সর্গ করেন তিনি। বলেন, এই সম্মান তাঁর পূর্বসূরী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের লড়াইয়েরই স্বীকৃতি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই সাম্মানিক ডিএসসি সম্মান প্রদান করা হল ভারতরত্ন বিজ্ঞানী সিএনআর রাওকে। এদিকে এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করতে না পারার জন্য ক্ষোভপ্রকাশ করেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা।