নিজস্ব প্রতিবেদন: শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দলত্যাগের সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য-রাজনীতির বিভিন্ন মহলে নানা বিষয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিজেপির দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলছে কোনও কোনও মহল এই বলে যে, তৃণমূল ভাঙানোর জন্য বিজেপিই দায়ী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য (SHAMIK BHATTACHARYA)সেই বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়ে বললেন, এটা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, এটা তাদেরই সমাধান করতে হবে। এর জন্য় অন্য দলকে দোষ দিলে চলবে না। 


সাংবাদিক (press)বৈঠকে শমীক প্রথম থেকেই তৃণমূলের সমালোচনা করেন। বলেন, রাজ্যে ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতি চলবে না বলে যে কথা বারবার বলছে তৃণমূল, তার কোনও ভিত্তি নেই। বরং শাসকদলই বিভাজন তৈরি করছে, পাহাড় থেকে এটা স্পষ্ট। এই প্রসঙ্গে গোর্খাল্যান্ড নিয়েও বিজেপির মতামত ব্যক্ত করেন শমীক। বলেন, সেই আশির দশক থেকেই গোর্খাল্যান্ড নিয়ে স্পষ্ট ও স্বচ্ছ মত বিজেপির। বাম-আমলে এ নিয়ে অনেক লড়াইও করেছে বিজেপি। শমীক বলেন, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করতে চায় না।  


এর পরই তিনি রাজ্যের প্রসঙ্গে চলে আসেন। বলেন, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি আক্রান্ত। রাজ্যের কোথাও রাজনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে করার কোনও পরিসর নেই। এখানে অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। যে দলকে মানুষ দেশ চালানোর অধিকার দিয়েছেন, সেই দলকে এই রাজ্যে অবাধে শান্তিপূর্ণ মিটিং-মিছিল করার অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যে ভোট হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচনকে ভয় পেয়ে সরে আসছে তৃণমূল। 


তিন আইপিএস বদলি নিয়ে তীব্র হয়েছে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত। এ নিয়ে শমীক জানান, জেড ক্যাটেগরি সিকিউরিটি প্রাপ্ত একজন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, সেখানে তিনজন আইপিএস দাঁড়িয়ে কী করছেন? জয়নগরের মোয়া খাচ্ছিলেন? জে পি নাড্ডার উপর হামলার পরে তিন ধরনের বিবৃতি আসে। এর কোনটি ঠিক?-- প্রশ্ন তোলেন তা নিয়েও। 


শমীক অবশ্য সব চেয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেন আসন্ন বিধানসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে। পরিষ্কার বলে দেন, চল্লিশ বছর পর রাজ্যে এবং কেন্দ্রে একই দলের সরকার হতে চলেছে। আমরা একটা 'ট্রানজিশন পিরিয়ড' দিয়ে যাচ্ছি। বিধ্বংসী আধিপত্যবাদ চলেছে রাজ্যে।


ALSO READ:  পাণ্ডবেশ্বরে অফিসে ভাঙচুর, Suvendu-র পর এবার তৃণমূল ছাড়লেন Jitendra Tiwari