মৌমিতা চক্রবর্তী ও কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: সল্টলেকে সিটি সেন্টারের চারতলা থেকে পড়ে চন্দন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুতে রহস্য বাড়ছে। কয়েকদিন ধরেই কাজ নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল। যে সংস্থায় চন্দন কাজ করতেন সেখান থেকেই তাঁর উপরে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল বলে দাবি। পড়ে যাওয়ার আগে স্ত্রীর মোবাইলে একটি মেসেজ পাঠান ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী চন্দন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'ভারত একসময় দুর্নীতি-সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত দেশ হবে', সময়সীমা বেঁধে দিলেন মোদী


পরিবার সূত্রে খবর নতুন জায়গায় কাজে যোগ দেওয়ার পর চন্দনের সঙ্গে তার বস-এর বোঝাপড়া ভালো যাচ্ছিল না।  চন্দনের আশঙ্কা ছিল কোনও ভাবে তাকে কাজ থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা চলছে। রবিবার দুপুরে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কথা বলেন চন্দন। স্ত্রী মনে করছেন কথা বলার সময় কিছুটা অন্যমনস্ক ছিলেন তাঁর স্বামী। পরে তিনি একটি মেসেজ করেন। সেখানে স্ত্রীকে লেখেন তিনি এবং তাঁর সন্তান যেন তাঁকে ক্ষমা করেন।  এর পরেও চন্দনের পরিবার মনে করছেন না যে চন্দন আত্মহত্যা করেছেন।


চন্দন মণ্ডল যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করতেন সেই কোম্পানির তরফে এখনও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। চন্দনের স্ত্রীর তরফে ওই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির কথাতেই পুরনো কোম্পানি ছেড়ে নতুন কোম্পানিতে যোগ দেন বলে দাবি। যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর উপের মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে চন্দন তার পরিবারকে জানিয়েছিলেন।


কী বললেন চন্দনের স্ত্রী? প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল বলেন, প্রায় ৭-৮ দিন ধরে আমাকে বলছিল খুব চাপের মধ্যে রয়েছি। আর পেরে উঠছি না। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেন? ও বলল, এই বস বিষ্ণু মুচ্ছাল ভালো অফার দিয়ে ডাকল। এবার ২ মাস হওয়ার পর এখন বলছে আমার হাতে কাজ এই মাসে কোনও কাজ নেই, ওই মাসে কোনও কাজ নেই। মনে হচ্ছে আমাকে সরিয়ে দিতে চাইছে। সকালে আমার সঙ্গে ওর কথা হয়েছে। বলল সিসি ওয়ানে আছি। পরে আবার আমি ফোন করলাম। জিজ্ঞাসা করলাম তোমার বস তোমাকে কী বলতে চাইছে? আমাকে স্পষ্ট করে বলো। তোমাকে কি চাকরি ছেড়ে দিতে বলেছে? ও বলল, ধরে নাও সেটাই। আমি তখন বললাম টেনশন করো না। আরও অনেক অপশন আছে।হাঠাত্ করে দেখলাম একটা মেসেজ এল হোয়াটসঅ্যাপে। সেখানে লেখা, তুমি আর ছোটবাবু ক্ষমা করে দিও। আমি আর আমাদের ফ্যামিলি মেনটেন করতে পারলাম না....সরি।


চন্দনের মা বলেন, ওখানে তো আমরা ছিলাম না। ও পড়ে গিয়েছে নাকি ওকে কেউ ফেলে দিয়েছে তা একমাত্র ঈশ্বরই বলতে পারেন। তবে ও নিজে থেকে পড়ে যাওয়ার মতো ছেলে নয়। ওই বউ আর ছোট বাচ্চাটাকে কার কাছে রেখে গেল? আমার ছেলে এমনটা করতেই পারে না। আমি জানি আমার ছেলে টাকা পয়সা ধার নিয়েছে। তার জন্য ওরা কাজ থেকে বের করে দিতে পারত। ও বাড়ি গাড়ি বিক্রি করে টাকা শোধ করত।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)