নিজস্ব প্রতিবেদন: হাত ছোঁয়ানো যাচ্ছে না পিঁয়াজে। বহুদিন ধরেই পিঁয়াজের দাম নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে আছে আমজনতা। এ বার তাই নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকারও। 
বর্ধিত মূল্যের পিঁয়াজ নিয়ে কড়া মনোভাব নিল রাজ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ, শুক্রবার কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের চারটি দল হানা দিল শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের দল পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হানা দিল নিউ মার্কেট, কোলে মার্কেট, পোস্তা, ভবানীপুর, গড়িয়াহাট এবং শ্যামবাজারে। ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চও জেলাস্তরে কোথাও কোথাও এরকম অভিযান চালিয়েছে।


এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ একটা নিয়মও বেঁধে দিয়েছে। আড়তদারেরা ২৫ মেট্রিক টন অর্থাৎ ২৫ হাজার কেজির বেশি পিঁয়াজ মজুত রাখতে পারবেন না। আর খুচরো ব্যবসায়ীরা ২ মেট্রিক টন অর্থাৎ ২ হাজার কেজির বেশি পিঁয়াজ মজুত রাখতে পারবেন না।


বাজারগুলিতে দেখা যায়, বিভিন্ন খুচরো ব্যবসায়ী চালান ছাড়াই আড়তদারদের থেকে পিঁয়াজ কিনছেন। এ ব্যাপারে তাঁদের সতর্কও করা হয়। 


কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের যে দলটি এ দিন নিউ মার্কেট এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়, তারা দেখে পাইকারি বাজারে ৪৫ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ খুচরো বাজারে সেই পিঁয়াজই হয়ে যাচ্ছে ৭০-৮০ টাকা প্রতি কেজি! যে দাম কোনও ভাবেই ৫০-৫৫ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।


কেন এরকম করছেন একাংশের ব্যবসায়ীরা?


অনেকটা দাম বাড়িয়ে পিঁয়াজ বিক্রি করা খুচরো ব্যবসায়ীদের যুক্তি হল-- পাইকারি বাজার থেকে মাল খুচরো বাজারে নিয়ে যেতে পরিবহণ খরচ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেটা তাঁদের স্থায়ী ক্ষতি। সেই ক্ষতি পূরণ করার জন্যই কখনও কখনও দাম বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন:  বাজার আগুন, আলু-পিঁয়াজ কিনতে হাত পুড়ছে বাঙালির