প্রাথমিকে আবেদনের সময়সীমা বাড়ল
পর্ষদ প্রথমে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আবেদনের সময়সীমা ধার্য করেছিল ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। সেই সময়সীমা-ই এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২১ নভেম্বর করা হল।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের সময়সীমা বাড়ল। আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২১ নভেম্বর করা হল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রথমে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আবেদনের সময়সীমা ধার্য করেছিল ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। সেই সময়সীমা-ই এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২১ নভেম্বর করা হল।প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে আবেদনের সময়সীমা যে বাড়তে চলেছে তার আভাস আগেই মিলেছিল।
কালই পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছিল যে প্রাথমিকে আবেদনের সময়সীমা বাড়ছে। সময়সীমা বাড়ছে ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের জন্য। বাকিদের ক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এবার সবার জন্যই আবেদনের সময়সীমা বাড়াল পর্ষদ। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার জন্যই বাড়ানো হয়েছে সময়সীমা। এই মর্মে নয়া বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে পর্ষদ। নতুন উল্লেখ্য, গতকাল টেট মামলায় প্রভাব খাটিয়ে নম্বরে বদলের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের গ্রেফতারির পক্ষে মত পোষণ করেন সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক। প্রভাব খাটিয়ে নম্বর বাড়িয়েছেন বেশ কিছু প্রার্থী। যে প্রার্থীরা নম্বর বাড়িয়েছেন তাঁদের গ্রেফতার নয় কেন? অভিযোগ করে প্রশ্ন তুললেন বিচারক। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে প্রশ্ন করেন বিচারকের। জবাবে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার জানান, ৬৭৭ জন প্রার্থীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যাঁদের নম্বর অদল-বদল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, Dengue Death: ফের ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে! চিন্তা বাড়ছে রাজ্যে
যা শুনে বিচারক পালটা জানতে চান, এদের মধ্যে কতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? উত্তরে সিবিআইয়ের অফিসার তখন জানান যে, এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে। যা শুনে রীতিমত অবাক হন বিচারক। এতদিনে মাত্র ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ! ৬৭৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কতদিন সময় লাগবে, জানতে চান বিচারক। পাশাপাশি বিচারক সরাসরি জানতে চান, তাঁদেরকে কেন গ্রেফতার করা হল না? কারণ তাঁরাও নম্বর বাড়াতে ষড়যন্ত্র করেছে! যদিও সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয় যে, তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। কিন্তু সেই জবাবে সন্তুষ্ট নন বিচারক। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ ও বয়ান রেকর্ড করা যেত বলে মত তাঁর।