Primary TET: হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাইমারি বোর্ডে হানা, সার্ভার রুমে ঢুকে তথ্য সংগ্রহ সিবিআইয়ের
২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকাকে সোমবার বেআইনি ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট
অর্ণবাংশু নিয়োগী: আদালতের নির্দেশ পেয়ে তড়িঘড়ি নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে দৌড়েছিলেন রাজ্য প্রাইমারি বোর্ডের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং পর্ষদ সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচী। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় সেখানে কাটান দু'জন। এরপর আদালতের নির্দেশে প্রাইমারি বোর্ডের অফিসে হানা দিল সিবিআই।
বুধবার রাজ্য প্রাইমারি বোর্ডের অফিসে সার্ভার রুমে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, বোর্ডের সার্ভারে প্রাথমিকে নিয়োগে অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য মজুত রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রাইমারিতে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপনে বিশ্বাস রঞ্জন নামে একজনের নাম করেছেন। সেই রঞ্জন ওরফে চন্দনের নামে এফআইআর করেছে সিবিআই। আগামিকাল হাইকোর্টে টেট প্রাইমারি তদন্তের রিপোর্ট দিতে পারে সিবিআই।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকাকে সোমবার বেআইনি ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ২৬৯ জনের চাকরি বেআইনি। এদের সকলের বেতন বন্ধ করতে হবে। ২৬৯ জন সোমবার থেকেই স্কুলের কোনও কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। স্কুলে ঢুকতে পারবেন না।
আদালতের নির্দেশ মতো, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার আগেই নিজাম প্যালেসে যান বোর্ডের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং পর্ষদ সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচী। রাত সাড়ে আটটার পর তাঁরা বের হন। সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দু'জন করে অফিসার মানিক ভট্টাচার্য এবং রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আলাদা ঘরে বসিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আগেই অভিযোগ উঠেছে যে, রাজ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৩ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে মাত্র ২৬৯ জনকে ১ নম্বর বাড়িয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, এদের মধ্য়ে অনেকেই পরীক্ষায় পাস না করলেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আদালতের প্রশ্ন, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্য়ে ২৬৯ জনকে কেন নিয়োগ করা হল? এছাড়া যেখানে ফেব্রুয়ারি মাসে বোর্ড জানিয়েছিল শূন্য পদ নেই, সেখানে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে কীভাবে নতুন পদ তৈরি হয়?
আরও পড়ুন-'সিটি অফ জয়' কলকাতা বদলে এখন 'সিটি অফ ডেমনস্ট্রেশন', তীব্র তোপ বিচারপতির