শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: প্রাইমারি টেটের উত্তরপত্রের কপি যদি কেউ কোনও দালালকে দেন তাহলে তার দায় পরীক্ষার্থীর। এক্ষেত্রে এর দায় দালালদের মতো আপনারও। প্রাইমারি টেটের ফলপ্রকাশের পর এভাবে চাকরিপ্রার্থীদের সতর্ক করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ফলাফল পরবর্তী ধাপগুলিতে কী স্বচ্ছতা থাকবে! কী বললেন প্রাইমারি টেটে প্রথম ইনা?


কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এবার শেষ হয়েছে প্রাইমারি টেট। সেই পরীক্ষার ফলও আজ প্রকাশ করে দিল পর্ষদ। এনিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারের পরীক্ষায় কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ১৪৬০টি কেন্দ্রের যে কোনও কক্ষে পর্ষদ বিশেষ নজরদারি চালাতে পেরেছে। আমি নিজেও বিকাশ ভবনে কন্ট্রোল রুমে ছিলাম। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রের একটি কপি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সুয়োগ পেয়েছিলেন। পর্ষদ শুধুমাত্র ওএমআর শিটের ওরিজিনাল কপি জমি নিয়েছিল। এটাও আমাদের রাজ্যের পরীক্ষা পদ্ধতির ইতিহাসে নজিরবিহীন পদক্ষেপ। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর পর্ষদ উত্তরপত্র পর্ষদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দিয়েছিল যাতে সবাই তা দেখতে পান। এক্ষেত্রে যদি কারও কোনও আপত্তি থাকে তা জানানোরও সুয়োগ দিয়েছিল পর্ষদ। এটাও প্রথম।


সম্প্রতি তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে বেশকিছু ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে প্রাইমারি টেটের স্বচ্ছতা কোথায়? এনিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার আগে ও পরে টেট নিয়ে একটি নেতিবাচক ধারণা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে বরাবরই সরব হয়েছে পর্ষদ। এর মধ্যেই সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নিয়ে সক্ষম হয়েছে পর্ষদ ও সময়ের আগেই ফল প্রকাশ করতে পেরেছে। এখানে একটা কথা বুঝতে হবে, পর্ষদ পরীক্ষা নিয়েছে। আপনি হয়তো পরীক্ষা দিয়েছেন। পর্ষদের কাছে একটি উত্তরপত্র রয়েছে। আপনার কাছে একটি কপি রয়েছে। আপনি যদি সেই কপি কাউকে দেন, কোনও দালালকে বা দুষ্টচক্রকে দেন তাহলে তার দায় সরকারের নয়, পর্ষদেরও নয়। পর্ষদ তো বটেই আমিও বলছি কোনও দালাল বা দুষ্টচক্রের ফাঁদে যদি পা দেন তাহলে সেই দালাল বা দুষ্টচক্রের মতো আপনারও সমান অপরাধ। এরকম কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। কেবলমাত্র নিজের যোগ্যতা, মেধা ও পরিশ্রমের উপরে আস্থা রাখুন। আস্থা রাখতে গেল পর্ষদের নিরপেক্ষতার উপরে আস্থা রাখতে হবে। পর্ষদ এবার যেবাবে পরীক্ষা নিয়ে তাতে কোনওরকম কোনও খুঁত বা ছিদ্র দিয়ে কালনাগিনী ঢোকার কোনও উপায় ছিল না। সেই কারণেই লখিন্দরের বাসর ঘরের মতো ত্রুটি সামলে প্রায় অভ্রান্তভাবে পরীক্ষা নিয়েছে পর্ষদ। 


এদিন বিধানসভায় অগ্নিমিত্র পল তাঁর বক্তব্যে বলেন আজ একটি কালো দিন। এতগুলো লোকের চাকরি চলে যাচ্ছে। শিক্ষার সঙ্গে জড়িত আধিকারিকরা জেলে। এনিয়ে ব্রাত্য বলেন, এক্ষেত্র চাকরি যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম কেলেঙ্কারির মতো কাউকে তো পিষে মেরে ফেলা হচ্ছে না।


উল্লেখ্য, ২০২২ সালের প্রাইমারি টেট-র ফলপ্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিলেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন। তার মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ১০২ জন। এঁদের মধ্যে পাশ করেছেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন। অর্থাৎ মোট পরীক্ষার্থীর ২৪.৩১ শতাংশ পরীক্ষায় পাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বর্ধমানের ইনা সিংহ এই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। এছাড়াও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন একাধিক পরীক্ষার্থী। জানা গিয়েছে ১৭৭ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে প্রথম দশ জনের মধ্যে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)