ওয়েব ডেস্ক: উড়ালপুলে চলবে শুধু বাইক, সাইকেল? ঠাঁই হবে না ভারী গাড়ির? পোস্তার ভাগ্য সম্ভবত এমনই পরিণতি। রাজ্যকে এই প্রস্তাবই দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পোস্তা উড়ালপুল। ভগ্নস্তূপ। নগর পরিবহণে এক মূর্তিমান জিজ্ঞাসা। বিভ্রান্তিও বটে। বিপর্যয়ের পরেই পোস্তা উড়ালপুল নিয়ে একাধিক কমিটি তৈরি করে রাজ্য সরকার। কাজ সুনির্দিষ্ট। বিপর্যয়ের কারণ খোঁজা। এবং উড়ালপুলের ভাগ্যগণনা।


রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রাইটস জানিয়েছে, পোস্তা উড়ালপুল জুড়েই রয়েছে অসংখ্যা ত্রুটি। উড়ালপুলকে কখনই পুরোপুরি সারিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। উড়ালপুলের যে পরিস্থিতি তাতে তার নীচ দিয়ে গাড়ি চালানোও নিরাপদ বলা যায় না। উড়ালপুলটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলাই এই সমস্যা থেকে বেরোনোর সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পথ। এই পরামর্শ গ্রহণ করা রাজ্য সরকারের পক্ষে কঠিন। তার একাধিক কারণ রয়েছে।



পোস্তা উড়ালপুলের নীচ দিয়ে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রিত করলে মধ্য কলকাতায় স্থায়ী যানজটের আশঙ্কা। পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলতে যে খরচ, তা আর একটা উড়ালপুল তৈরির সমান। উড়ালপুল ভাঙতে গেলে আসপাশের পুরনো বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা।



রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রাইটস জানায়, পোস্তা উড়ালপুলের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণে তাদের অন্তত ২ বছর সময় লাগবে। অত সময় নেই। রাজ্যকে একটা সমাধানসূত্র দিয়েছেন IIT-র অধ্যাপকরা। তাঁদের প্রস্তাব, উড়ালপুলটি মেরামত করে তাতে বাইক, সাইকেল কিংবা হাল্কা গাড়ি চালানো যেতে পারে।  IIT-র অধ্যাপকদের কমিটিকে দ্রুত চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে বলেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, ওই ফ্লাইওভার সম্পূর্ণ করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন- পুরসভার অনুমতি ছাড়াই তৈরি হচ্ছে বাসস্ট্যান্ড, ছড়াল বিতর্ক )