নিজস্ব প্রতিবেদন:   মধ্যরাতে যৌনকর্মীদের হোটেলে আনা, তাঁদের টাকা না দেওয়া, ধরা পড়ার পর পুলিসের চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি। বিস্তর অভিযোগ উঠল খোদ দুই পুলিস কর্তার বিরুদ্ধেই। বুধবার রাতে বেনিয়াপুকুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গুজরাত পুলিসের অফিসারকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। ধৃত গুজরাতের এক ব্যবসায়ীও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ধড় থেকে ছিন্ন হয়ে গেল মুন্ডু, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা উলুবেড়িয়ায়


গণ্ডগোলের সূত্রপাত হোটেলে যৌনকর্মী নিয়ে যাওয়া নিয়ে। রয় অলক সুকুমার , দীপক কে দয়ানি এবং তারক চন্দ্র বালানি। ৩ জন ওঠেন বেকবাগানের একটি হোটেলে। এদের মধ্যে অলক নিজেকে গুজরাত পুলিসের ডিএসপি বলে দাবি করেছেন। দীপক গুজরাতেরই ব্যবসায়ী।


আরও পড়ুন: টলিউডের কাজের নাম করে গাড়ি ভাড়া, ফাঁস হল আসল সত্য


 পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৯টা নাগাদ অলক ও দীপক হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়েন। রাত এগারোটা নাগাদ হোটেলে ফিরে আসেন দুজন। তাঁদের সঙ্গে গাড়িতে দুই মহিলা ছিলেন বলে অভিযোগ। তা দেখে সন্দেহ হয় হোটেলকর্মীদের।  অলক ও দীপক দুই মহিলাকে নিয়ে লিফটে উঠতেই হোটেলকর্মীরা বাধা দেন। শুরু হয় বচসা। ক্ষোভ উগরে দেন দুই মহিলাও। বেনিয়াপুকুর থানায় যোগাযোগ করেন তাঁরা। পুলিসকে দুই মহিলা জানান,  তাঁরা পেশায় সোনাগাছির যৌনকর্মী। ১০ হাজার টাকা করে দেবে বলে তাঁদের হোটেলে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেই টাকা দেওয়া হয়নি। এমনকি ট্যাক্সিভাড়াও মেটানো হয়নি। অভিযোগ পেয়ে হোটেলে হানা দেয় পুলিস। দুর্ব্যবহারের অভিযোগে অলক ও দীপক দয়ানিকে আটক করা হয়।


আরও পড়ুন: গয়না বন্ধক রেখে টাকা ধার, আত্মহত্যার চেষ্টা নবম শ্রেণির ছাত্রীর



কলকাতা পুলিসের অফিসারদের সঙ্গে এরপর আরও গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন অলক সুকুমার। অভিযোগ, গাড়িতে যাওয়ার সময় বেনিয়াপুকুর থানার অফিসারদের চমকাতে থাকেন তিনি। দাবি করেন তিনি আইপিএস। বেনিয়াপুকুর থানার বড়বাবুর সামনে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দেন অলক।


অভিযোগ,  পিএমও-তে চিঠি লিখে ওসির চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি দেন অলক।  শেষমেশ দুজনকেই গ্রেফতার করে পুলিস। অলক সুকুমারের কাছ থেকে একটি কার্ড উদ্ধার হয়েছে। তাতে আইপিএস অফিসারের পরিচয় রয়েছে। কার্ডটি আসল কিনা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের শিয়ালদা আদালতে তোলা হবে।