ওয়েব ডেস্ক: সাইকো কাণ্ডে রহস্যভেদের প্রায় কাছাকাছি পৌছে গেছে পুলিস। পারিবারিক তিক্ততার কারণেই আত্মহত্যা করেছেন অরবিন্দ দে। এ নিয়ে একরকম নিশ্চিত পুলিস। কিন্তু, পারিবারিক অশান্তির কারণ কী? একাধিক সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মায়ের মৃত্যুর পর ভাই অরুণের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল হয়েছিল অরবিন্দবাবুর। পুলিসের অনুমান, এটা ভালভাবে নেননি পার্থ ও দেবযানী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্ত্রীর প্রতি অবহেলার জন্যও অরবিন্দবাবুকে তাঁর ছেলেমেয়েরা পছন্দ করতেন না। তদন্তকারীদের একাংশ এমনও ভাবছে, সম্ভবত দেবযানীর প্রতি অরবিন্দবাবুর অন্যরকম দুর্বলতা ছিল। যা ভালভাবে নেননি পার্থ। কঙ্কাল যে দেবযানীর তা নিয়ে নিশ্চিত হতেই DNA পরীক্ষা হবে। দেবযানীর উপবাসেই মৃত্যু হয়েছে কি না, তা জানতে ফিমার হাড়ের RNA ও ক্যালসিয়াম ডেনসিটি পরীক্ষা হবে। এছাড়া পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে কী জটিলতা রয়েছে সেই রহস্যেরও যবনিকা তুলতে চায় পুলিস।


এদিকে, চমকে দেওয়ার মতো কিছু তথ্য সামনে এসছে রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে উদ্ধার হওয়া চিরকুট থেকে।  পুলিস সূত্রে খবর,যোগানন্দ পরমহংসের দেখানো পথে ক্রিয়া যোগ অভ্যাস  করতেন দেবযানী। শুরু করেন উপোসও। ওই  আধ্যাত্মিক গুরুর আশ্রমে খোঁজ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে  পুলিস। গত  ডিসেম্বরেই মৃত্যু হয় দেবযানীর। তারপর জানুযারি থেকে জুনের মধ্যে এক জন চিকিত্সক এসেছিলেন রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে। কে সেই চিকিত্সক তারও খোঁজ করছে পুলিস।  পার্থ-র কাকা অরুণ দে ও তাঁর ছেলে অর্জুন দেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রবিবার বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছিল পুলিস। জানা যায়, পার্থ-র মা মারা যাওয়ার সময়েও পার্থ, দেবযানী বা অরবিন্দ দে শেষকৃত্যে যোগ দেননি। অরুণ-অরবিন্দের সম্পর্কও ভাল চোখে দেখতেন না পার্থ।