ওয়েব ডেস্ক: সাইকোকাণ্ডে আগামীকাল পার্থ দে-কে জেরা করতে চলেছে পুলিস। কাল পাভলভে যাচ্ছে তদন্তকারী দল। ইতিমধ্যে পার্থর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে পাওয়া চিরকুট ডায়েরির হাতের লেখা সত্যিই কি পার্থ-দেবযানীর?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদি সেই লেখা ভাইবোনের হয়ে থাকে, তবে  কোন মানসিক অবস্থায় তাঁরা ওই চিরকুট-ডায়েরি লিখেছিলেন? দে পরিবারের সবাই কি মনোরোগের শিকার হয়েছিলেন? সত্যিই কি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যৌন বিকার ছিল? এমনই নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।


শেক্সপিয়ার সরণিতে কঙ্কালকাণ্ডের দ্রুত জট খুলতে চায় পুলিস। তাই ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষা না করেই সফটওয়্যারের সাহায্য নিচ্ছে তদন্তকারী দল। ডিএনএ পরীক্ষা সময়সাপেক্ষ। কঙ্কালটি দেবযানীর কিনা, সফটওয়্যারের সাহায্যে তা দ্রুত জানা যাবে বলে পুলিসের ধারণা।
আগামিকাল কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হবে। দেবযানী দে কি এখনও জীবিত? দিদি সম্পর্কে পার্থ যে সব কথা বলছেন, সেগুলি সত্যি নাকি বানানো গল্প, উঠে আসছে নানা প্রশ্ন।  আত্মহত্যার ঠিক দুদিন আগে সলিসিটরের কাছে গিয়ে কেন ভাই-বোন দুজনের নামেই সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা করতে চেয়েছিলেন বাবা অরবিন্দ দে, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে রহস্য।


কলকাতার সাইকো পার্থ দে আজও এক্কেবারে স্বাভাবিক। কাল রাত থেকে হাসপাতালের খাবারই  খাচ্ছেন। তবে সব খাবারই তাঁকে খুব সাজিয়ে গুছিয়ে দিতে হচ্ছে।  না হলে তিনি খাবার খাচ্ছেন না। সকালে চা, রুটি, ডিম আর কলা খেয়েছেন পার্থ। কয়েকজনের সঙ্গে কথাও বলেছেন।  গতকাল থেকেই স্বাভাবিক ব্যবহার করছেন পার্থ। কাল নিজে থেকেই স্নান খাওয়া দাওয়া করেছেন। গল্প করেছেন হাসপাতালের অন্য রোগীদের সঙ্গে। লুডো খেলারও ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি।  গেয়েছেন গান।