নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রত্যাশা ছিলই। সেটাই হল সিপিএমের রাজ্য কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে। পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর (Abbas Siddiqui) সঙ্গে জোটের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য নেতারা। সকলের একই ভাষ্য, অন্তত ১ ঘণ্টা বৈঠক করেও তো মতামত নেওয়া যেত! তবে সিপিএম কারও সঙ্গে জোট ভাঙবে না বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra)।               


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম বামশূন্য বিধানসভা। ১৯৭২ সালের প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও এমন বিপর্যয় হয়নি বলে মানছেন বাম নেতারা। আর হারের কারণ বিশ্লেষণে চলে আসছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী (Abbas Siddiqui)। অনেকেই মনে করছেন, আব্বাসকে নেওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে দলের দলের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি। এ দিন রাজ্য কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে পীরজাদাকে নিয়েই উঠল ঝড়। রাজ্য নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন আলিমুদ্দিনের নেতারা। শীর্ষ নেতৃত্বকে বিঁধেই তাঁরা জানতে চাইলেন, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (ISF) সঙ্গে হঠাৎ করে জোট কেন? রাজ্য কমিটিতে তো অন্তত একঘন্টার জন্য বৈঠক করে মতামত নেওয়া যেত। রাজ্য নেতাদের অভিমত, একজন পীরজাদাকে নিয়ে বাকিদের চটানো হল। 


আগামী দিনে কী হবে? ভরাডুবি হলেও আইএসএফ-র সঙ্গ ছাড়া হবে না বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। সূর্যকান্ত মিশ্র   (Surjya Kanta Mishra) বলেন,''আমরা কাউকেই জোট থেকে বেরিয়ে যেতে বলব না। কিন্তু কেউ যদি চান তাঁরা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।''


ভোটে যেভাবে ঐশী, সৃজনদের প্রার্থী করে নতুনের জয়গান গেয়েছিল সিপিএম। সেই পথে হেঁটেই নতুন প্রজন্মকে গুরুত্ব দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে রাজ্য কমিটি। এর পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে, বুদ্ধিজীবী এমনকি বিরোধীদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, 'কেমন সিপিএমকে আপনারা দেখতে চান'।   


এ দিন দলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অপূর্ব সরকার ও অমল হালদার। আগামী ৩ মাস সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে পারবেন না তন্ময় ভট্টাচার্য।


আরও পড়ুন- থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে, সোমবার সম্ভবত দিল্লি যাচ্ছেন না Alapan