নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কেন গেলেন মমতা? মমতা-অমিত বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। বিজেপির জাতীয় সম্পাদকের কটাক্ষ, উনি রাজ্যের কল্যাণে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। তৃণমূলের কল্যাণে গিয়েছিলেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন অমিত শাহের সঙ্গে অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমের এনআরসি নিয়ে সে রাজ্যে বিরোধী নেত্রী কথা বললে ঠিক ছিল বলে মনে করেন রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়, ''অসমের এনআরসি কথা বলতে পারেন অসমের বিরোধী নেত্রী। উনি অসম নিয়ে কেন বৈঠক করতে গিয়েছেন? রাজ্যপাট উঠে যাওয়ার পর অসমের নেত্রী হবেন নাকি!''



রাজ্যের আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে বলে দিল্লি যাওয়ার পথে দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের বকেয়া নিয়ে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শুনেছেন। বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। সময় দিলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এযাত্রায় আর দেখা হবে না। পরে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এসে বৈঠক করে যাবেন। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে না গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দরবারে কেন? সেই একইসুরে রাহুল সিনহা বলেন,''রাজ্যের বকেয়া উদ্ধারের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে গেলেন না। পরে কবে অমিত মিত্র যাবেন। উনি গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। রাজ্যের কল্যাণে যাননি, তৃণমূলের কল্যাণে গিয়েছিলেন মমতা। ওনার মুখ দেখে মনে হয়েছে তৃণমূলের ধ্বংস আটকাতে সেরকম কোনও ইঙ্গিত পাননি। খালি হাতে গিয়েছেন, খালি হাতে এসেছেন। 


প্রধানমন্ত্রী দেউচা পাঁচামির কয়লাখনির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার আমন্ত্রণ খারিজের আবেদন করে নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। সে প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা মতে, প্রধানমন্ত্রী বিচক্ষণ ব্যক্তি। উনি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। উদ্বোধনে আসা উচিত না অনুচিত তা ঠিক করবেন তিনিই। অনেক সত্য লুকিয়ে আছে চিঠিতে। প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করছি। 


আরও পড়ুন- অমিত-মমতার বৈঠকে উঠল অসমের NRC ইস্যুই, ব্রাত্য বাংলার প্রসঙ্গ