ওয়েব ডেস্ক: বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা MPS-এর বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে তল্লাসি চালাল CBI। সংস্থার অফিস ও অধিকর্তাদের বাড়ি মিলিয়ে মোট ১৯টি জায়গায় আজ হানা দেন CBI আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর নথি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নৈহাটি, হাওড়া, লেকটাউন, যাদবপুর সহ রাজ্যের ১৯টি জায়গায় একযোগে তল্লাসি। সারদার পর এবার CBI রেডারে আরেকটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা MPS। সারদার মতোর প্রচার না পেলেও, আর্থিক কেলেঙ্কারিতে এই সংস্থাও খুব পিছিয়ে নেই। MPS কর্তার প্রতারণার ইতিহাস প্রায় ৩৩ বছর পুরনো।


১৯৮২ সালে প্রথম বেআইনি চিটফান্ড ব্যবসা শুরু করেন প্রমথনাথ মান্না। পাঁশকুড়া রেল স্টেশনের পাশে শতদল সেভিংস-এ চলত প্রতারণার সেই কারবার। ১৯৯৭ সালে প্রায় ৫০ কোটি টাকা প্রতারণার পর ঝাঁপ ফেলে দেয় শতদল সেভিংস।


আমানতকারীর অভিযোগ করলেও, প্রমথনাথ মান্নাকে ধরেনি পুলিস। ২০০৪ সালে তাঁকে একবার আটক করে সিআইডি। তবে ততদিনে তিনি খুলে ফেলেছেন নতুন কোম্পানি। MPS গ্রুপ।


সমবায় ভিত্তিক চাষ ও পর্যটনকে সামনে রেখে বাজার থেকে টাকা তুলতে থাকে MPS
ঝাড়গ্রামের দহিজুড়িতে বিরাট এলাকা জুড়ে তাদের চাষের জমি ও রিসর্ট
আদিবাসী এলাকার জমি কী করে MPS গ্রুপ পেল তা এখনও রহস্য
সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসায় দুহাজার তেরোর মে মাসে MPS গ্রুপ বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার
২০১৪ সালের এপ্রিলে বাঁকুড়া থানায় প্রমথনাথ মান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়
২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর শ্যামল সেন কমিশনে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আটক হন প্রমথনাথ মান্না


প্রমথনাথ মান্না ও MPS ডিরেক্টর প্রবীর চন্দ্রকে কে আটক করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস। তাঁরা এখন জেল হেফাজতে।  ওই দুজন ধরা পড়তেই কোম্পানির বাকি ডিরেক্টররা গা ঢাকা দেন। মঙ্গলবারও নৈহাটি, জগাছা, আগরপাড়ায় MPS ডিরেক্টরদের বাড়িতে হানা দেয় CBI। যদিও কারও দেখা মেলেনি। তল্লাসি চালানো হয়েছে লেকটাউনে প্রমথনাথ মান্নার বাড়িতেও। বিভিন্ন জেলায় MPS-এর একাধিক দফতর থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর নথি।