ওয়েব ডেস্ক: অসহযোগিতার আড়ালেই কি তদন্তে সিবিআইকে সহযোগিতা করছেন রজত মজুমদার? প্রাক্তন এই পুলিসকর্তা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, সিবিআইকে তিনি কোনও সহযোগিতা করবেন না। রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করেছেন সিবিআইকে। যদিও তদন্তকারীদের ইঙ্গিত, প্রাক্তন এই পুলিসকর্তার হাত ধরেই মিলছে প্রভাবশালী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ। সিবিআইয়ের দাবি যে মিথ্যে নয় তার প্রমাণ মিলেছে কুণাল ঘোষের চিঠিতেও। কুণালের দাবি, আদালতে রজত মজুমদার যে দাবি করেছেন তা ঠিক নয়। আদালতে রজত যাঁদের নাম করেছেন, মুখোমুখি জেরার সময় তাঁদের নাম আদৌ উল্লেখ হয়নি। তাহলে ভরা আদালতে কেন মুখ্যমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করলেন রজত মজুমদার, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


চিঠিতে কুণালের দাবি-


দেখলাম রজত মজুমদার বলেছেন সুদীপ্তর টাকা ওঁকে (রজত মজুমদার) দিয়ে মমতাকে পাঠানো হয়েছে। এটা নাকি জেরার সময় আমি বলেছি। সিবিআই কর্তারা সাক্ষী, এই প্রসঙ্গটিতে মমতার নাম পর্যন্ত উল্লেখ হয়নি। রজতদা কেন এমন বললেন, বুঝলাম না।



বৃহস্পতিবার আদালতে দাঁড়িয়ে রজত মজুমদার কী বলেছিলেন?



কুণালের মুখোমুখি হলাম। তখন কুণাল এই কথা বলল যে মমতা-মুকুলকে নাকি ভোটের আগে টাকা দিতাম সুদীপ্তর থেকে নিয়ে। ওই যে সিবিআইয়ের যে অফিসার পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁকে বলছি, আমার নাম রজত মজুমদার। আমার মুখ থেকে একটাও কথা বের করতে পারবেন না। মুকুল-মমতাকে টাকা দিয়েছি এটা বলাতে পারবেন না। মমতা-মুকুলকে টাকা দিয়েছি? সাতদিন পরে বলবেন, মুকুলকে টাকা দিয়েছি। তারও সাতদিন পরে বলবেন মমতাকে টাকা দিয়েছি। সাতদিন কেন সত্তর দিনেও প্রমাণ করতে পারবেন না। আপনি কোনওদিন মুখ থেকে বার করতে পারবেন না মুকুল-মমতাকে টাকা দিয়েছি।


সুদীপ্ত সেনকে রজত কী বলেছিলেন---


তুমি কুণালকে বলেছ আমার হাত দিয়ে মুকুল-মমতাকে টাকা পাঠাতে? চালাকির একটা সীমা থাকা উচিত।