নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্নীতিগ্রস্তরা সামনের সারিতে। যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি, তখনই পিছনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এ কী যন্ত্রণা বলে বোঝাতে পারব না! শনিবার একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে এমন উপলব্ধি রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। কেন এমনটা বললেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? Zee ২৪ ঘণ্টাকে বনমন্ত্রী প্রতিক্রিয়া দেন,'স্তাবকতায় আমি বিশ্বাসী নই। ন্যাচরালি সেখানে নম্বর কম।'     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'যাঁরা আমরা রাজনীতিতে আছি, অনেক সময়ে ভাবি রাজনীতিতে ক্ষমতটাই সব। অর্থাৎ আমি ক্ষমতা ভোগ করতে পারি। এখন এই ধরনের মানুষ অনেক রয়েছে। আমি রাজনীতিটা করি মানুষের স্বার্থে। গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা। যাঁরা যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করছে, যাঁদের মধ্যে দক্ষতা রয়েছে, যাঁরা মানুষের সঙ্গে মিশতে পারে, মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমের চেষ্টা করে তাঁরাই প্রাধান্য পাচ্ছে না। এটা আমাকে কষ্ট দেয়। যাঁরা ঠান্ডা ঘরে থাকে, যাঁরা মনে করে মানুষকে সহজে বোকা বানানো যায়, তাঁদের ঠকিয়ে দিলে বোধহয় আমার কাজ সফল। আজ তাঁরাই বিভিন্ন জায়গায় সামনের সারিতে চলে আসছেন।'


রাজীব আরও বলেন,'যখন যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি, সঙ্গে সঙ্গে পিছনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। যে মুখগুলোকে মানুষ দেখতে চায় না, দুর্নীতিগ্রস্ত, স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারে না যাঁরা, সত্যি কথা বলতে পারে না, তাঁরা স্তাবক বলে সামনের সারিতে আনা হচ্ছে। এ কী যন্ত্রণা বোঝাতে পারব না! এটা স্তাবকতার যুগ। আমি ভাল বললে ভাল বলতে হবে। খারাপ বললে খারাপ বলতে হবে। হ্যাঁ-তে হ্যাঁ, না-তে না মেলাতে পারলে তুমি ভাল নইলে তুমি খারাপ। মানুষের পালস বুঝতে পারছে না। মানুষ রাজনীতি থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে।'    


 


পরে Zee ২৪ ঘণ্টাকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'খারাপটাকে যাঁরা খারাপ বলতে পারছে না, ভাল বলছে। ভালটাকে ভাল বলতে পারছে না, খারাপ বলছে। এই স্তাবকতায় আমি বিশ্বাসী নই। ন্যাচরালি সেখানে নম্বর কম।' শুভেন্দু দল ছাড়লে কি ক্ষতি হবে? বনমন্ত্রীর সাফ কথা,'শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লে ক্ষতিই হবে। কেন এত ক্ষোভ-বিক্ষোভ, সেটা দলের অনুসন্ধান করা উচিত। যত তাড়াতাড়ি ভাববে তত মঙ্গল।'    



হাওড়ায় অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও লক্ষ্মীরতন শুক্লার সম্পর্ক 'মধুর'। ভোটের আগে তিন নেতার মধ্যে মনোমালিন্য দূর করতে অতিসম্প্রতিই বৈঠকে বসেছিলেন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও দ্বন্দ্ব কতটা কেটেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ, নভেম্বরের শেষ দিনে হাওড়ায় একই বিষয়ে আলাদা মিছিল করেন অরূপ ও রাজীব।       


আরও পড়ুন- কলকাতায় তৃণমূল-অকালি বৈঠক, কৃষি আইন প্রত্যাহারে বাদলের পাশে মমতা