অরূপ লাহা:বর্ধমানের শক্তিগড়ে কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এল সিট-এর। কয়লা পাচারকাণ্ডে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রাজুর। সেই হাজিরার একদিন আগেই সন্ধায় শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের উপরে রাজুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় বিহারের বৈশালী জেলা সংশোনাগারের এক বন্দিকে জেরা করতে চান তদন্তকারী অফিসাররা। ওই বন্দিকে জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসার অরূপ ভৌমিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ওন্দায় দুই মালগাড়ির সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে গেল ইঞ্জিন; লাইনচ্যুত ১৩ বগি, বাতিল বহু ট্রেন


সিটের অনুমান বিহারের জেলে বন্দি ও কয়েদি সরাসরি রাজু ঝা খুনের সঙ্গে জড়িত। বৈশালী সংশোধনাগারে গিয়ে ওই বন্দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য় শনিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে আবেদন জানালেন তদন্তকারীরা। সেই আবেদন মঞ্জুরও করেছেন বিচারক। সংশোধনাগারের সুপারকে সব ধরনের সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে ওই আদেশ হাতে পাওয়ার খুব শীঘ্রই বৈশালী যাচ্ছএ সিট-এর তদন্তকারী দল।


উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল শক্তিগড় থানার আমড়া এলাকায় ল্যাংচা হাবের কাছে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন কয়লা কারবারি রাজু। ৩ দুষ্কৃতি তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে বলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়ে। দুষ্কৃতীরা অপারেশন সেরে তাদের ব্যবহার করা নীল গাড়িটি শক্তিগড় থানার কাছে ফেলে রেখে যায়। অন্য একটি গাড়িতে চেপে চম্পট দেয় তারা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী শক্তিগড় থেকে মালম্বা হয়ে কাটোয়া থানার জাজিগ্রামে পৌঁছায় দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকে বীরভূম হয়ে ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়ার দিকে চলে যায় তারা।


তদন্তে নেমে সিট মোবাইল কল ডাম্পিং ও নানা টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে বেশকিছু ক্লু পায়। সেসবের সূত্র ধরে ১৮ এপ্রিল দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে সিট। পরে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট পেয়েছেন তদন্তকারীরা।


এসবের মধ্যেই খুনের মামলার তদন্তভার যাতে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন নরেন্দ্রনাথ খাড়কা নামে এক ব্যবসায়ী। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ কেসের তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজুর স্ত্রী হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। তদন্তভার কার হাতে থাকবে তা নিয়ে টানাপোড়েন চলে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তদন্ত। তদন্তভার ফিরে পেয়েই সিট দ্রুত ঘটনার কিনারায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
 
সিট আদালতে জানিয়েছে, খুনের ঘটনায় বৈশালী জেলার রাজাপাকড় থানার মথুরাচকের বাসিন্দা মুকেশ কুমার সরাসরি জড়িত বলে তথ্য মিলেছে। টেকনিক্যাল ফুট প্রিন্ট ও নানা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় মুকেশের জড়িত থাকার বিষয়ে জানা গিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে রাজাপাকড় থানার একটি বিষ মদের মামলায় জেলে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত জরুরি বলে তদন্তকারী অফিসারের দাবি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)