ব্যুরো: রানাঘাটকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ধরা পড়লেও এখনও অধরা ধর্ষক। ধরা পড়েছে মূল অভিযুক্ত মিলন সরকার। গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত ওহিদুর ইসলামও। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে শিয়ালদা স্টেশন থেকে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি। ডাকাতি করতে এসে বাহাত্তর বছরের এক সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের মোটিভ কী ? মিলনকে জেরা করে সেই তথ্যই পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। রানাঘাট আদালতে তোলা হলে ধৃতদের চোদ্দোদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নদিয়ার রানাঘাট। ডাকাতি করতে আসা দুষ্কৃতীর হাতে গণধর্ষণের শিকার হন গাংনাপুর কনভেন্টের বাহাত্তর বছরের সন্ন্যাসিনী। তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। দেশ ছাড়িয়ে বিতর্কের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে বিদেশেও। তীব্র নিন্দা জানান পোপের প্রতিনিধি। ঘটনাস্থলে গিয়ে বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যরা ধরা পড়লেও এতদিন অধরাই ছিল মূল অভিযুক্ত মিলন সরকার। পুলিস জানাচ্ছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে শিয়ালদা থেকে মিলন ও  ওহিদুরকে গ্রেফতার করে সিআইডি।


সিআইডি সূত্রে খবর, ঘটনার পরই পাঞ্জাবে পালিয়ে গিয়েছিল রানাঘাটকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড মিলন। পরে সেখান থেকে বাংলাদেশ পালিয়ে যায় সে।


কিন্তু একদিন পর কীভাবে তার হদিশ পেল সিআইডি? পুলিস মহলে ব্যাখ্যা,


এডিজি সিআইডি রাজীব কুমারের অন্যতম সাফল্য এটি। বাংলাদেশে তাঁর ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়েই মিলনকে ফাঁদে ফেলেন তিনি।


ডাকাতি করতে গিয়ে হঠাত্‍ কেন এক বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীকে গণধর্ষণ ?সিআইডি সূত্রে খবর, জেরায় মিলন জানিয়েছে,


সিআইডির বক্তব্য, রানাঘাটকাণ্ডে দুষ্কৃতীদের দলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছিল মিলন সরকার। বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে ঢুকে এই কাণ্ড ঘটায় তারা। শুধু এ রাজ্যেই নয়, অন্যান্য রাজ্যেও তারা দুষ্কর্ম চালিয়েছে। এ রাজ্যের লিঙ্কম্যানদের নিয়োগ করত মিলনই।


ফলে দুষ্কৃতীদের লিঙ্কম্যানদের খোঁজ পেতে মিলনই এখন গোয়েন্দাদের তুরুপের তাস।