সন্দীপ সরকার


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অপরেশন থিয়েটার অপ্রতুল। চেয়ারে বসিয়েই অস্ত্রোপচার হল বাঁকুড়ার গণধর্ষিতা তরুণীর। চোখ বাঁচাতে আংশিক অবশ করে ডেন্টাল বিভাগের চেয়ারে বসিয়ে হল আড়াই ঘণ্টার অস্ত্রোপচার। ঝুঁকি নিয়ে তরুণীর চোখের নীচে পাত বসালেন চিকিত্সকরা। প্রত্যন্ত এলাকার কোন হাসপাতাল নয়। এঘটনা রাজ্যের একমাত্র সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল  এসএসকেএমের।


আরও পড়ুন: ভাইঝি হয়ে গেল স্ত্রী! আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী মনোতোষের রোমহর্ষক অতীত


দুর্গাপুজোর সময়ে বাঁকুড়া জেলার কুঁয়োপাড়ার একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী নিজের বাড়িতেই চার ধর্ষকের লালসার শিকার হন। শারদ অষ্টমীর রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন ওই কিশোরী। অভিযোগ, চার দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে তাকে গণধর্ষণ করে। নির্যাতনের সময়ে মেঝেতে মাথা ঠুকে দেওয়ার চোখের কোটরের হাড় ভেঙে যায়। সেদিনই তাকে প্রথমে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন সেখানকার চিকিত্সকরা। নবমী থেকে এসএসকেএম-এই ভর্তি ছিল কিশোরী।


আরও পড়ুন: এক যে ছিল জ্বর! ডেঙ্গি সচেতনতায় সিনেমা বানালেন আরজিকরের চিকিত্সকরা



ধীরে ধীরে ওই কিশোরী এক চোখের দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে। প্রথম দিকে হাল ছেড়ে দেন চিকিত্সকরাও। কিশোরীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন পরিজনদের। কিন্তু তাতে রাজি হয় না কিশোরীর পরিবার। একপ্রকার জোর করেই এসএসকেএম-এ মেয়েকে রেখে দেন তাঁরা। এরই মধ্যে ভবানীপুর থানায় মূল অভিযুক্ত অনীল পাণ্ডে-সহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। অনীল পাণ্ডেকে গ্রেফতার করে বাঁকুড়া থানার পুলিস। 
পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে থাকায় এসএসকেএম-এর ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল সার্জেনের কাছে পাঠানো হয় কিশোরীকে। চোখের কোটরের ভাঙা হাড় প্রতিস্থাপন করতে জরুরি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন বলে জানান ওই বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক। না হলে কিশোরী ওই চোখে দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ হারাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য দন্তচিকিত্সা বিভাগের কাছে অপারেশন থিয়েটার চান ওই চিকিত্সক। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি। নির্যাতিতা কিশোরীর দৃষ্টিশক্তি বাঁচাতে মরিয়া চিকিত্সকরা দন্তচিকিত্সা বিভাগের চেয়ারেই অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। আড়াইঘন্টা পর চিকিত্সকরা জানান সফল হয়েছে অস্ত্রোপচার।


 



কিশোরী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন দু'চোখে।