ওয়েব ডেস্ক:ইঁদুরের দৌরাত্ম্যে খারাপ হয়ে পড়ে আছে অত্যাধুনিক মেশিন। মেশিন বসে যাওয়ায়  বায়োপসি  রিপোর্ট পেতে তিন মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে। সময়ে শুরু হচ্ছে না ক্যানসারের মতো রোগের চিকিত্‍সা। এ ছবি খাস কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেডিক্যাল কলেজে বায়োপসি করাতে এসে হয়রান হচ্ছেন রোগীরা। রিপোর্ট পেতে লেগে যাচ্ছে এক থেকে তিন মাস। খারাপ হয়ে পড়ে আছে বায়োপসি করার অত্যাধুনিক যন্ত্র। মাসুল দিচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে দুর-দুরান্ত থেকে চিকিত্‍সা করাতে আসা রোগীরা। বায়োপসির জন্য বছরখানেক আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হিস্টোপ্যাথলজি বিভাগে আসে দুটি বিদেশি অত্যাধুনিক মেশিন। 
 
সাঁইতিরিশ লাখ টাকা খরচ করে কেনা হয় অটো টিস্যু প্রসেসর। পঁয়তিরিশ লাখে কেনা হয় অটো স্লাইড স্টেনার। অটো স্লাইড স্টেনারের সাহায্যে সাত থেকে আট দিনে গড়পড়তা তিরিশ জন রোগীর বায়োপ্সি রিপোর্ট দেওয়া যায়। 


ইঁদুর ঢুকে পড়ায় বায়োপ্সির জন্য জরুরি অটো স্লাইড স্টেনার খারাপ হয়ে পড়ে আছে। যন্ত্রের বদলে হাতে পরীক্ষা করতে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে সময়। বায়োপ্সি রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় ঠিক সময়ে রোগীদের চিকিত্‍সা শুরু করা যাচ্ছে না।


রাজ্যের প্রথম সারির একটি সরকারি হাসপাতালের এই দশা কেন? কবে ঠিক হবে বায়োপ্সি মেশিন? স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী শশী পাঁজা, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল তপন কুমার লাহিড়ি ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা কেউই এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।