কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে শিল্পে অগ্রগতির তেমন কোনও চিহ্ন তিনি দেখতে পাননি। দু-বছর পর কলকাতায় এসে এই মন্তব্য করলেন রতন টাটা। লেডিজ স্টাডি গ্রুপের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার কলকাতায় এসেছিলেন টাটা গোষ্ঠীর এমিরেটাস চেয়ারম্যান।  সেখানেই  রাজ্যের শিল্পোদ্যোগ নিয়ে উদ্বেগের সুর শোনা যায় তাঁর গলায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুখ্যমন্ত্রী যখন দাবি করছেন পশ্চিমবঙ্গ শিল্পে এক নম্বর হবে, তখন  রাজ্যে পা দিয়ে শিল্পোদ্যোগের কোনও চিহ্নই কিন্তু দেখতে পেলেন না রতন টাটা।  বুধবার কলকাতার লেডিজ স্টাডি গ্রুপ আয়োজিত এক আলোচনাসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন টাটা গোষ্ঠীর এমিরেটাস চেয়ারম্যন। তাঁর উদ্দেশে প্রশ্ন ছিল, এরাজ্যে পরিবর্তনের কোনও ছবি তাঁর চোখে পড়ল কিনা।  জবাবে রতন টাটা বলেন, নতুন বাড়ি ঘর তৈরি হওয়া বা কিছু ব্যবসায়িক তত্পরতা নজরে এলেও শিল্পে অগ্রগতির কোনও চিহ্ন নেই।


সিঙ্গুর ছাড়তে হয়েছিল বাধ্য হয়েই। তবে সানন্দে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। কলকাতায় এসে সিঙ্গুর প্রসঙ্গে আরও একবার একথা বললেন রতন টাটা। ছ-বছর পরেও তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে একই ক্ষোভের সুর।তেসরা


অক্টোবর, দু হাজার আট


বিক্ষোভ, তৃণমূল পতাকা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনে। তার জেরে টাটার ন্যানো কারখানা সিঙ্গুর ছেড়ে পারি দিল গুজরাতের সানন্দে।


ছ-বছর আগের স্মৃতি ফের উসকে ফিরে এল সিঙ্গুর প্রসঙ্গ। বুধবার রতন টাটা কলকাতায় এসে আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন, চোট পুরনো হলেও তার ক্ষত আজও তাজা। কাঁটার মতো বিঁধে রয়েছে ন্যানো প্রকল্পের সিঙ্গুর ছাড়ার ঘটনা।   


উপায় ছিল না। তাই রাজ্য ছাড়তে হয়েছিল। স্পষ্ট করে দিয়েছেন টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তবে এর জেরে ক্ষতি হয়েছে তাঁর স্বপ্নের একলাখি গাড়ি প্রকল্পের। সেই ক্ষোভ এদিন উগরে দেন রতন টাটা।  


রাজ্যের শিল্পায়নে গতি আনতে দিনরাত এক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এই অবস্থায় সিঙ্গুর ইস্যু ফের উসকে দিয়ে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিলেন রতন টাটা।


রাজ্যে শিল্পের শোচনীয় ছবিটা বদলাতে তবে সরকারের ভুমিকা কি হওয়া উচিত ? সেই পরামর্শটাও দেন টাটা গোষ্ঠীর এমিরেটাস চেয়ারম্যন।


গত তিন বছরে একের পর এক শিল্পসম্মেলন করেও বিনিয়োগকারীদের নজর পশ্চিমবঙ্গের দিকে ঘোরাতে পারেনি রাজ্য সরকার।  উল্টে বন্ধ হয়েছে একের পর এক পুরনো কারখানা। এরমাঝেই শিল্প নিয়ে সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ। কোথাও তোলা না পাওয়ায় মালিককে খুনের হুমকি কোথাও আবার ঠিকাদারকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ, প্রায় সর্বত্রই কাঠগড়ায় কোনও না কোনও তৃণমূল নেতা। যদিও সেই সব অভিযোগই খারিজ করে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ শিল্পে একনম্বর হবে। এবারে রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে রতন টাটার মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল বলে মনে করছে বণিকমহলের একাংশ।