অর্ণবাংশু নিয়োগী: রেশন দুর্নীতিতে ইডির হাতে বিস্ফোরক তথ্য! বাকিবুরের সঙ্গে দিনের পর দিন বালুর বৈঠক। দুজনের বৈঠক হত খাদ্য দফতরে। সল্টলেকেও একটি জায়গায় বৈঠক হত। প্রভাবশালী বাকিবুরের গাড়ি থাকত মন্ত্রীর কনভয়েই। রেশন ডিলারদের সঙ্গে মন্ত্রীর কথাতেই যোগাযোগ রাখত বাকিবুর। ইডি সূত্রে খবর, সেই ডিলারদেরও বয়ান নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবেন তদন্তকারী অফিসাররা। অমিত দে-র বয়ানে উঠে এসেছে, তাঁর মোবাইল থেকেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে কথা হত বাকিবুরের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাশাপাশি, ইডির নজরে এবার এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টও। রেশন দুর্নীতি মামলায় নাম উঠে আসা ৩ সংস্থা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেই সিএ। এমনকি, ওই ৩টি সংস্থা বন্ধ করে দেওয়ার পরও একইভাবে টাকার লেনদেন চালাতেন সেই সিএ। কার নির্দেশে কাজ করতেন সেই সিএ? কে ওই ৩ সংস্থাকে অচল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন? উত্তর খুঁজছে ইডি। এই সূত্র ধরেই এবার জিজ্ঞাসাবাদ মন্ত্রীকে। প্রসঙ্গত, রেশন কাণ্ডে আরও জোরালো হয়েছে বালু-বাকিবুর যোগ। ইডির নজরে এবার বেশ কিছু বড় বড় চালকল, গমকল মালিকও। ইডি সূত্রে খবর, রেশনের গম, চাল খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করতেন এই সব চালকল, গমকল মালিকরা। তারপর সেই টাকা সরাসরি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে পাঠাতেন তাঁরা। ওদিকে ছোট থেকে মাঝারি ব্য়বসায়ীদের টাকার লেনদেন দেখাশোনা করতেন বাকিবুর। তল্লাশিতে সেই ক্লু মিলতেই অভিযুক্তদের নামের তালিকা তৈরিতে জোর ইডির।


হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর শুরু হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ১০ দিনের ইডি হেফাজত। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে রেশন দুর্নীতিতে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ। ওদিকে, দেগঙ্গায় একটি মিল থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০৯টি সরকারি স্ট্যাম্প। মিলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনশিয়াল কমোডিটিস সাপ্লাই করপোরেশন লিমিটেড, চিফ ইন্সপেক্টর, ডিসি (ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই) উত্তর ২৪ পরগনা, ব্লক এক্সটেনশন অফিসার অ্যান্ড ইনসপেকটর অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি, পারচেজ অফিসার উত্তর ২৪ পরগনা, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার, সাব ইনসপেকটর (ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই)-এর সরকারি স্ট্যাম্প! বলতে গেলে একটা মিলেই গোটা জেলার সরকারি 'সদর' দফতর!


এখন প্রশ্ন হচ্ছে, চালকলে কেন সরকারি স্ট্যাম্প? জানা গিয়েছে, মিলেই ভাগ হত রেশন। তদন্তকারী সংস্থার প্রাথমিক অনুমান, ২০/৪০ : ৬০/৮০ শতাংশ রেশিওতে মিলেই রেশন ভাগ করা হত। সেখান থেকে রেশন পাঠানো হত ডিস্ট্রিবিউটারের কাছে। পাঠানোর আগে অফিশিয়াল কাগজপত্রে স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হত। আর সেই কারণেই দেগঙ্গার ওই মিলে সমস্তরকম সরকারি স্ট্যাম্প জোগাড় করে রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান। 


আরও পড়ুন, 'অশোক স্তম্ভের সম্মান রক্ষা করেননি, কারও দাসের মত কাজ!' কড়া ভর্ৎসনা বিচারপতি গাঙ্গুলির



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)