প্রবীর চক্রবর্তী: আরজিকরের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরপরই সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদ নিয়োগ করা হয়। এনিয়ে এবার সরব হলেন কুণাল ঘোষ। ওই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। এতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা গিয়েছে। এমনটাই মন্তব্য করলেন কুণাল ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আরজি করের 'বিতর্কিত' সন্দীপ ঘোষকে রাস্তা থেকেই তুলল CBI!


কুণাল ঘোষের বক্তব্য, আরজিকর কাণ্ডে প্রশাসন যখন চাইছে না কোনও ভুল বার্তা যাক, কোনও রাজনীতি হোক। তখন  সন্দীপ ঘোষের পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্তের ফলে ভুল বার্তা গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দীপ ঘোষ এখন দায়িত্বে নেই তার পরও তাঁকে নতুন দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হোক। ছাত্রছাত্রীদের আবেগকে গুরুত্ব দেওয়া হোক। কারণ উনি ন্যাশনালে গেলে আবার অশান্তি হবে।


কুণাল ঘোষ আরও বলেন, আর জি কর ঘটনা নিয়ে দল সমানভাবে প্রতিবাদী। ফাঁসি চাওয়া হয়েছে। সিপিএম-বিজেপির ইতিহাস পরের পর। তারা নানা মিথ্যা প্রচার ইভেন্ট শুরু করেছে। এদের চক্রান্ত আমরা মানব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে এর বিরুদ্ধে কাজ হয়েছে। তিনি সমস্তভাবে ন্যয়বিচার চেয়েছেন। একটা অপশক্তি লাগাতার আক্রমণ করছে। মানুষকে সঠিক তথ্য জানাতে আন্দোলন চলছে। আমার মনে হয় আমাদের সে্নাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে সক্রিয় ভাবে সামনে চাই। তিনি সক্রিয় নেই। তিনি সবটা দেখছেন। তিনি নজর রাখছেন। কিন্তু কোনও কারণে বৃহত্তর লড়াইয়ে তাকে দেখতে পাচ্ছি না। ন্যায়বিচারের দাবিতে অবশ্যই আন্দোলন চলবে। লড়াইয়ে সমান ভাবে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে চাই। অভিষেকের চোখে একটা সমস্যা আছে। তার জন্য ওকে কাজ করতে হয়। কিন্তু এর মধ্যেও ও কাজ করে। আমাদের অনুরোধ ও এগিয়ে আসুক।


তৃণমূলে নেতা বলেন, প্রাক্তন সাংসদ হিসাবে বলছি, শকুনের রাজনীতি করছে বিরোধীরা। রাখঢাক করা বা আড়াল করা্র কোনও প্রশ্ন নেই এই তদন্তে। কিন্তু এমন কিছু পদক্ষেপ হয়ে গিয়েছে তাতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা গিয়েছে। যারা প্রথমে দেহ দেখেছিলেন তারা সময়ে যথাযথ তথ্য দেননি। স্থানীয় স্তরে গাফিলতি ছিল। সন্দীপ ঘোষ কি করেছেন তা আমরা জানিনা। কিন্তু তদন্তকারীরা বলতে পারবে।তবে ছাত্র ছাত্রীদের তাকে নিয়ে আপত্তি ছিল। এর মধ্যে তাকে পুনঃনিয়োগ নিয়ে মানুষের কাছে ভুল বার্তা গেছে। সকালে পদত্যাগ, বিকেলে দায়িত্ব পাওয়া। এই পদক্ষেপে ভুল ছিল। এই পাপ তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে আসে না। যদিও রাম-বাম আমাদের কুৎসা করেছে। যদিও সেমিনার রুম অক্ষত আছে। এগুলোকে মানুষ নেতিবাচক হিসাবে দেখছে। আর তার ঝামেলা এসে পড়ছে। এর সুযোগ নিচ্ছে রাম-বাম। এর সাথে নবান্নের সম্পর্ক নেই। এই ভুল ত্রুটি শুধরে নিতে হবে। স্বচ্ছ ভাবে সব সামনে বলে দিলে ভালো।


শান্তনু সেন নিয়ে কুণাল বলেন, বিভিন্ন আন্দোলনে তাকে দক্ষ সৈনিক হিসাবে দেখেছি। তাকে অনুরোধ করব আপনারা যখন বলছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সব তথ্য যায়নি। আপত্তি কিসের, সেটা মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত ভাবে জানান। দল সিদ্ধান্ত নিলে সেটা দলের বিষয়। সৈনিক সৈনিকের ভূমিকা পালন করবে। শান্তনু লড়াকু সৈনিক। তাকে আমি ত্রিপুরায় ওই অবস্থায় দেখেছি। শুধু বলব বাইরে এমন কিছু বলবেন না যাতে রাম-বাম উৎসাহিত হয়।।


ডার্বি ম্যাচ হওয়া উচিত ছিল। এটা স্থগিত হতে পারে না। মাঠে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে গেলে যেতেন। মানুষ ন্যয়বিচার চাইতেই পারেন। এখন সিবিআই তদন্ত করছে। আর কেউ অসন্তোষ প্রকাশ করলে পুলিশ ব্যবস্থা নিত। এখনও বলছি মাঠে ম্যাচ হওয়া উচিত। কাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে ডার্বি করা উচিত ছিল। আমরাই বলব বনধ ব্যর্থ করো। আবার ডার্বি বনধ করব তা হতে পারে না। আর জি করের কয়েকজন আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন। তারা এক্সপোজড হতে ভয় পাচ্ছেন। তারা তথ্য দেবেন আমাকে। আমি সেই তথ্য নিয়ে সিবিআই অফিসে যাব। তাদের তথ্য তুলে দেব।


হাসপাতালের কর্ম বিরতি নিয়ে বলেন,  এই কর্মবিরতি কেন চলবে? গরিব মানুষ হাসপাতাল ছাড়া কোথায় যাবে? কি লাভ হচ্ছে কর্মবিরতি করে? বাইপাসের ধারে বহু হাসপাতালে রোগী কমে গেছে। কারণ পাশাপাশি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে। আর সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি থাকলে  রোগীদের কি সেই বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে? এই বাণিজ্যিক লাভ কাদের?
পরিষ্কার ভিডিও আছে ডিওয়াইএফআই ব্যারিকেড ভাঙছে। ওরা আরও অরাজকতা করতে চেয়েছিল। পুলিস ওদের প্ররোচনায় পা দেয়নি। মীনাক্ষীদের দলের কাজই এটা। বানতলা, ধানতলার, ধারক বাহক এরা। এরা কোন মুখে কথা বলতে যান? এরা নাটক করতে যান।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)