Recruitment Scam: কুন্তলের বয়ানের সূত্রেই ডাক! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার তলব যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে
Recruitment Scam: সূত্রে খবর, জানার চেষ্টা হবে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন বা কোনও রকম সম্পত্তি লেনদেন সায়নীর হয়েছিল কিনা তা জানার চেষ্টা হবে। এর পাশাপাশি কুন্তল ও অন্যান্য অভিযুক্তদের কাছ থেকে পাওয়া বেশকিছু তথ্য সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যাচাই করতে চান ইডি আধিকারিকরা
বিক্রম দাস ও অয়ন ঘোষাল: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। এবার ইডির দফতরে ডাক পড়ল দলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের। আগামী শুক্রবার সায়নীকে হাজিরা দিতে হবে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে। জানা যাচ্ছে কুন্তল ঘোষের বয়ানের সূত্রে ধরেই ডাকা হয়েছে সায়নীকে।
আরও পড়ুন- সকালে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, রাতে বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইকে গুলি দিনহাটায়
ইডি সূত্রে খবর প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করা হয়েছে সায়নীকে। শুক্রবার বেলা এগারোটার মধ্যে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে হবে। ইডি সূত্রে খবর, সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর পেতে চান ইডির তদন্তকারীরা। মূলত কুন্তল ঘোষ সম্পর্কিত বেশকিছু তথ্য তাঁরা পেতে চান। কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞসাবাদের পর ইডি আধিকারীকরা মনে করছেন সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে।
কী প্রশ্ন উঠতে পারে ইডির তরফে। সূত্রে খবর, জানার চেষ্টা হবে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন বা কোনও রকম সম্পত্তি লেনদেন সায়নীর হয়েছিল কিনা তা জানার চেষ্টা হবে। এর পাশাপাশি কুন্তল ও অন্যান্য অভিযুক্তদের কাছ থেকে পাওয়া বেশকিছু তথ্য সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যাচাই করতে চান ইডি আধিকারিকরা।
ওই তলব নিয়ে সায়নী ঘোষের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাই ওই দিন তিনি হাজিরা দেবেন কিনা তাও স্পষ্ট নয়। তবে ইডি সূত্রে খবর তলবের নোটিস সায়নীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুন্তল ঘোষের বয়ানেই উঠে এসেছিল কালীঘাটের কাকুর নাম। পাশাপাশি কুন্তলের কথা থেকেই পাওয়া যায় রহস্যময়ী নারী গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গাঙ্গুলীর স্ত্রী হৈমন্তীর গাঙ্গুলীর নাম। কুন্তল দাবি করেছিল সব টাকা গোপালের কাছে আছে।
কে এই হৈমন্তী? কেন কুন্তল তাঁর নাম বলেছিলেন? কুন্তলের দাবি, এই হৈমন্তী গাঙ্গুলি হলেন, গোপাল দলপতির স্ত্রী। আর এই গোপাল দলপতির আসল নাম আরমান গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সব জানেন হৈমন্তী। সব টাকা তার কাছেই রয়েছে। তিনি সবটা জানেন। কুন্তল ঘোষ যেদিন গ্রেফতার হন সেদিন থেকেই বারবার দুটো নাম নিচ্ছিলেন তিনি। একটি হল তাপস মণ্ডল ও অন্যটি গোপাল দলপতি। তাপস গ্রেফতার হয়েছেন। গোপাল দলপতিকে একাধিকবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। মডেলিং করতেন হৈমন্তী। সেই সুবাদেই নাকি কুন্তলের সঙ্গে পরিচয় হয় হৈমন্তীর। ২০১৫-১৬ সালে গোপাল দলপতির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল হৈমন্তীর।
কুন্তল ঘোষ দাবি করেছিলেন, অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁর উফপরে চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাটি ঠিক কী? নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডি হেফাজতে কুন্তল ঘোষ। গত ৬ এপ্রিল ধৃতকে যখন আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়, তখন বিচারককে একটি চিঠি দেন কুন্তল। চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা'। কেন? সিবিআই ও ইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।