মদ্যপ অবস্থাতেই গাড়ি চালিয়েছেন, জেরায় স্বীকার সাম্বিয়ার, উধাও হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বাবা মহম্মদ সোহরাবই
মদ্যপ অবস্থাতেই গাড়ি চালাচ্ছিল। পুলিসি জেরায় স্বীকার করেছে সাম্বিয়া। দুর্ঘটনার পর উধাও হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বাবা মহম্মদ সোহরাবই। পুলিসকে এমনটাও জানিয়েছে রেড রেড কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। তার তিরিশে জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ওয়েব ডেস্ক: মদ্যপ অবস্থাতেই গাড়ি চালাচ্ছিল। পুলিসি জেরায় স্বীকার করেছে সাম্বিয়া। দুর্ঘটনার পর উধাও হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বাবা মহম্মদ সোহরাবই। পুলিসকে এমনটাও জানিয়েছে রেড রেড কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। তার তিরিশে জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হিট অ্যান্ড রানের চারদিন পরে পুলিসের জালে প্রধান অভিযুক্ত সাম্বিয়া। শনিবার রাতে বেকবাগান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিসের। পুলিস সূত্রে খবর, শনিবারই শ্বশুরবাড়িতে আসার কথা ছিল সাম্বিয়ার। সেই মতো ওঁত পাতেন গোয়েন্দারা। শ্বশুরবাড়িতে ঢোকার মুখেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি পুলিসের। রাতেই লালবাজারে এনে একপ্রস্থ জেরা করা হয় সাম্বিয়াকে। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার দিন মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কথা স্বীকার করেছে সাম্বিয়া। জিজ্ঞাসাবাদে সাম্বিয়া জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত বারোটা দশ নাগাদ অডি গাড়িতে রিপন স্ট্রিটের বাড়ি থেকে বের হয় সে। রাত বারোটা কুড়ি থেকে রাত একটা পর্যন্ত বৌবাজারের পানশালায় শানু এবং জনির সঙ্গে আড্ডা দেয়। রাত একটা থেকে দুটো পর্যন্ত পার্কস্টিট্রের নাইটক্লাবে ছিল ।রাত দুটো নাগাদ ক্লাব থেকে বের হয় তিনজন। জয় রাইডের জন্য পরমা ফ্লাইওভারে চলে যায় তারা। ফ্লাইওভারের ওপরেই সিগারেট আড্ডার পর, বাইপাস হয়ে তিনটে পনেরো নাগাদ পৌছয় সল্টলেকে। এরপর ফের তারা ফিরে আসে পার্কস্ট্রিটে। সেখান থেকে খিদিরপুরে এক বন্ধুর বাড়িতে আড্ডা দিতে যায়।এরপরেই ভোর পাঁচটা পঁয়তাল্লিশ নাগাদ খিদিরপুর থেকে রেড রোড হয়ে ফেরার পথেই বিপত্তি। ফারলং রোডে সেনা জওয়ানকে পিষে দিয়ে গাড়ি ফেলে চম্পট দেয় সাম্বিয়া। এরপর সকাল সাতটা চারের ফের রিপন স্ট্রিটের বাড়িতে ফেরে দিশেহারা সাম্বিয়া।গোটা ঘটনার পর থেকেই ফোনে বারবার বাবা মহম্মদ সোহরাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
সকাল সাড়ে নটা নাগাদ বাবা নির্দেশ দেন ফেরার হয়ে যাওয়ার। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কোলাঘাটের দিকে বেরিয়ে পড়ে। বুধবার সন্ধেয় কোলাঘাট থেকে ট্রেনে রাঁচি চলে যায়। পুলিসের দাবি শনিবার শহরে ফিরেই গ্রেফতার হয় সাম্বিয়া। যদিও বৃহস্পতি ও শুক্রবার সাম্বিয়া কোথায় ছিল তা এখনও জানে না পুলিস।