জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্রিটিশ ভারতের প্রথম দুই মহিলা স্নাতকের একজন তিনি। ইউরোপীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে শিক্ষিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী চিকিৎসকও তিনি। উনিশ শতকের শেষভাগে পাশ্চাত্য চিকিৎসায় ডিগ্রি অর্জন করেন কাদম্বিনী। আনন্দীবাঈ জোশীর সঙ্গে তিনিও হয়ে ওঠেন ভারতের প্রথমদিকের অন্যতম নারী চিকিৎসক। ব্রাহ্ম-সংস্কারক ব্রজকিশোর বসুর কন্যা কাদম্বিনীর জন্ম হয় ১৮ জুলাই ১৮৬১ সালে বিহারের ভাগলপুরে। তাঁদের মূল বাড়ি ছিল বরিশালের চাঁদশিতে। তাঁর বাবা ছিলেন ভাগলপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্কুলে পড়ার সময়ে কাদম্বিনী ১৮৭৮ সালে প্রথম মহিলা হিসাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাস করেন। অনেকটা তাঁর সাফল্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই বেথুন কলেজ প্রথম এফ.এ (ফার্স্ট আর্টস) এবং তারপর অন্যান্য স্নাতক শ্রেণি আরম্ভ করে। ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে কাদম্বিনী এবং চন্দ্রমুখী বসু বেথুন কলেজের প্রথম গ্র্যাজুয়েট হয়েছিলেন। তাঁরা বি.এ পাস করেছিলেন। তারা ছিলেন ভারতে এবং সমগ্র ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট।


গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর কাদম্বিনী সিদ্ধান্ত নেন তিনি ডাক্তারি পড়বেন। ১৮৮৩ সালে মেডিকেল কলেজে ঢোকার পরে একুশের কাদম্বিনী তাঁর শিক্ষক ৩৯ বছরের দ্বারকানাথ গাঙ্গুলিকে বিয়ে করেন। দ্বারকানাথ বিখ্যাত সমাজসংস্কারক ও মানবদরদি সাংবাদিক হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন। কাদম্বিনী বসু হলেন কাদম্বিনী গাঙ্গুলি।


শুধু নিজের কর্মজগতেই তাঁর দৃষ্টি আবদ্ধ ছিল না। কাদম্বিনী চা-বাগানের শ্রমিকদের শোষণের বিষয়েও অবগত ছিলেন। চা-বাগানের শ্রমিকদের শোষণের বিষয়ে তাঁর স্বামীর দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করেন তিনি। দ্বারকানাথ আসামের চা-বাগানের শ্রমিকদের কাজে লাগানোর পদ্ধতির নিন্দা করেছিলেন। কবি কামিনী রায়ের সঙ্গে কাদম্বিনী ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে বিহার এবং ওড়িশার নারীশ্রমিকদের অবস্থা তদন্তের জন্য সরকার দ্বারা নিযুক্ত হয়েছিলেন। পিতৃতন্ত্রের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন সেই সময়ে দাঁড়িয়েই। নারীস্বাধীনতার জন্য গলা তুলেছিলেন নানা প্রতিবন্ধকতার মোকাবিলা করেই। 
    
 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 


আরও পড়ুন: Nelson Mandela International Day: বিশ্ব নেলসন দিবসে শ্রদ্ধা সেই অপরাজিত মহামানবকে