নিজস্ব প্রতিবেদন: সংঘাত চলছিলই, 'সৌজন্য'-এর মাত্রা ছাড়াল এবার। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক অভিযোগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলকাতা পুলিশের কাছে আর্জি জানালেন তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, জগদীপ ধনখড়কে সাংবিধানিক পদ সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করলেন রাষ্ট্রপতির কাছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  বিজেপির বিক্ষোভে রণক্ষেত্র তারাতলা: ইটবৃষ্টি, পাল্টা লাঠিচার্জ, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর


যবে থেকে বাংলার রাজ্যপালের পদে আসীন হয়েছেন, তবে থেকে সরকারের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনখড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয় তিনি। যতদিন যাচ্ছে, রাজ্যপালের একের পর এক টুইটে বিড়ম্বনাও ততই বাড়ছে নবান্নের। সম্প্রতি গরু পাচার ও কয়লা কাণ্ড রাজ্য সরকার ও পুলিশের ভূমিকার কড়া নিন্দা করেন রাজ্যপাল। আর তাতেই ধৈর্য্যে বাঁধ ভাঙল তৃণমূলের।


তৃণমূল ভবনে বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরপর টুইট করে 'অপরাধীদের আড়াল' করছেন রাজ্যপাল, 'সরকারি কাজে বাধা' দিচ্ছেন। এরপর ভারতীয় ফৌজদারি বিধির দুটি ধারা উল্লেখ করে খোদ রাজ্যের সাংবিধানিক  প্রধানের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কলকাতা পুলিশের কাছে আর্জি জানান শ্রীরামপুরের আইনজীবী সাংসদ। রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর আবেদন, 'রাজ্য়পাল সংবিধানের ধারা লঙ্ঘন করছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখুন এবং জগদীপ ধনখড়কে অবিলম্বে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।'


আরও পড়ুন: অবরোধ, লাঠিচার্জের মাঝেই বনধে অন্য ছবি, মারাদোনার স্মরণে ফুটবল যাদবপুর চত্বরে


কিন্তু পদে থাকাকালীন কি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায়? সেই সম্ভাবনা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্য়ায়। তবে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যপালের কাজকর্ম বা আচরণে যদি আপত্তি থাকে, তাহলে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ করা যেতে পারে। কিন্তু রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে, এটাই কাম্য।