আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। রাত পোহালেই ফলাফল। কী রায় দেবে চৌরঙ্গি ও বসিরহাট দক্ষিণের জনগণ? সেইদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবারের  উপনির্বাচনে সন্ত্রাসের ঘটনা ছিল একেবারেই বিক্ষিপ্ত।  কিন্তু বিরোধী দল থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটার সকলেরই মত ভোট হয়েছে শান্তিতেই। চৌরঙ্গিতে ভোট পড়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ। বসিরহাট দক্ষিণে ৭৮ শতাংশের একটু বেশি। উপনির্বাচনের নিরিখে মোটের ওপর মন্দ নয়। গত বিধানসভা নির্বাচনেচৌরঙ্গি ছিল তৃণমূলের দখলে। শিখা মিত্র দলবদলের কারণে অকালভোট। অন্যদিকে, তৃণমূল ঝড়েও বসিরহাট দক্ষিণে অটুট ছিল বাম দুর্গ। তবে লোকসভা নির্বাচনে বদলে যায় সমস্ত হিসেবনিকাশ। প্রায় দেড়হাজার ভোটে কংগ্রেস জয়ী হয় চৌরঙ্গিতে। বসিরহাটে ৩২ হাজার ভোটে এগিয়ে যায় বিজেপি। এই সমীকরণের মধ্যেই মঙ্গলবার দুই কেন্দ্রের ফলাফল।


জিতবে কে? আশাবাদী সবশিবিরই। কারণ বিজেপি মনে করছে চুপচাপ পদ্মফুলে ছাপ দিয়েছেন ভোটাররা। তৃণমূলের দাবি, মমতা ঝ়ড় এখনও অব্যাহত। বামেদের বিশ্বাস,আস্থা ফিরছে। কংগ্রেসের অঙ্ক ভোট কাটাকাটির সুযোগ আসবে তাদের ঘরেই। তবে মামুলিদুটি উপনির্বাচন হলেও এর ফলাফল কিন্তু রাজ্যরাজনীতিতে যথেষ্টই  সুদুরপ্রসারী। এই মুহুর্তে সারদা নিয়ে রীতিমত চাপে তৃণমূল শিবির। এই অবস্থায় একমাত্র অক্সিজেন দিতে পারে এই দুটি আসন। অন্যদিকে বিজেপির কাছে একটা আসনও হয়ে উঠতে পারে আগামিদিনের তুরুপের তাস। এই মুহুর্তে একটা আসন জেতা বামেদের খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সবমিলিয়ে উপনির্বাচন হলেও এই ফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে যুযুধান সব শিবিরই।