নিজস্ব প্রতিবেদন : মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের বিচ্ছেদ এখন সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, দলের সঙ্গে মেয়রের সম্পর্কের সুতো কার্যত পাকাপাকিভাবে ছেঁড়ার উপক্রম হয়েছে। দল বার বার দূত পাঠিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরই তৃণমূলে শোভনের ভবিষ্যত নিয়ে শুরু হয়ে গেছে শেষের দিন গোনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্তমানে কলকাতা পুরসভার মেয়র পদের পাশাপাশি তাঁর হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর। মেয়র হওয়ার সঙ্গেই তিনি আবাসন, দমকল ও পরিবেশমন্ত্রী। একইসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগলা জেলা তৃণমূলের সভাপতিও তিনি। দলের অন্দরে কানাঘুষো, দলের সঙ্গে দূরত্ব এতটাই বেড়েছে যে এবার মেয়র ও মন্ত্রিত্ব দুই-ই হারাতে পারেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়। সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বেও তাঁকে আর রাখা হবে কিনা, দলে সেবিষয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গেছে।


আরও পড়ুন, ফেসবুকে 'ডার্টি পলিটিক্স' বার্তা বৈশ্বনরের, জবাব তলব তৃণমূলের


কিন্তু হঠাত্ কেন শোভনের উপর এতটা ক্ষুব্ধ দল? কারণ হিসেবে প্রথমেই যে প্রসঙ্গ উঠে আসছে, তা হল মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জীবন। ব্যক্তিগত জীবনের ওঠাপড়ায় চরম বিতর্ক বিপাকে শোভন। আর সেকারণেই দলের অন্দরে তাঁকে নিয়ে বেড়েছে অস্বস্তি।


তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, দলীয় ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঔদাসীন্য চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মনে করছে দল। সেকারণেই দলের তরফে বার বার দূত পাঠিয়ে তাঁকে সতর্ক করা হয়। সংশোধনের বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও মেয়র 'শোধরাননি' বলে দাবি শীর্ষ নেতৃত্বের।


আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত আপনারা দেখুন, দিল্লি আমি করব : মমতা


উল্লেখ্য, শুক্রবার নজরুল মঞ্চে আয়োজিত কোর কমিটির বৈঠকে গরহাজির থাকেন শোভন। তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ হয় দল। এরপর শনিবার পুর বাজেটেও দেরিতে ঢোকেন তিনি। অন্যদিকে, এই সবের মধ্যেই মেয়রের জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা তুলে নেয় সরকার। যা সম্পর্ক বিচ্ছেদের প্রাথমিক ধাপ বলেই মনে করছে রাজৈনিতক মহল।