লড়াই শেষ, SSKM-এ মৃত্যু হল পোলবা দুর্ঘটনায় আহত পড়ুয়া ঋষভের
খুদের শারীরিক অবনতির খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই হাসপাতালে চলে আসেন ঋষভের পরিবারের লোকজন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা ৮ দিনের লড়াই শেষ। মৃত্যুর কাছে হার মানল চিকিত্সকদের সব চেষ্টা। শনিবার কাকভোরে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হল পোলবা কাণ্ডে আহত ঋষভ সিংয়ের। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পোলবায় পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ঋষভ-সহ আরও এক খুদে পডুয়া। গ্রিন করিডর করে দুজনকেই আনা হয় এসএসকেএমে। এরপর দুজনকেই রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। ঋষভের অবস্থা সঙ্কটজনক থাকায় ECMO এবং ভেন্টিলেশন, দুটোই চলতে থাকে সমান তালে।
আরও পড়ুন: বামপন্থীরা লড়াই করে এক ঢিলে দুটো পাখি মারে- TMCP ও ABVP, জয় পেয়ে কটাক্ষ এসএফআইয়ের
কিন্তু ECMO-তে কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসও কাজে এল না। সংক্রমণের পরিমাণও বাড়ছিল। অক্সিজেন না পৌঁছানোই মস্তিস্ক "কর্মক্ষমতা" হারিয়েছিল আগেই। গত দুদিন ধরে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছিল চিকিৎসকদের। শুক্রবার সন্ধ্যার পরই কার্যত সব শেষ হয়েছিল। দফায় দফায় চিকিৎসকরা অস্ত্র প্রয়োগ করলেও কোনও সাড়া দেয়নি ছোট্ট শরীর। মাল্টিঅর্গান ফেল হতে থাকে। এদিন রক্তের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে ফের সিঙ্গেল ডোনার প্লেটলেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। কিন্তু শরীর নিতে পারেনি কিছুই। ব্যর্থ হয় সমস্ত চেষ্টা।
খুদের শারীরিক অবনতির খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই হাসপাতালে চলে আসেন ঋষভের পরিবারের লোকজন। শেষপর্যন্ত শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ থেমে গেল ছোট্ট ঋষভের হৃদস্পন্দন। ছেলের মৃত্যুতে শোকে পাথর বাবা-মা। হাসপাতাল চত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন খুদের বাবা। কাউন্সিলর পুত্রের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া পোলবাতেও। উল্লেখ্য, ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাো হয়েছে ঋষভের দেহ। বেলা ১২টার পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।