কলকাতা: "যে যে ইস্যুগুলো নিয়ে সরব হয়েছি, আজ না হয় কাল, সেগুলির উত্তর দিতেই হবে, এড়িয়ে যাওয়া যাবে না", নাম না করে এই ভাষাতেই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদী-র সদর দফতরে কামান দাগলেন বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা ঋতব্রত ব্যানার্জি। এতদিন পর্যন্ত বাকপটু ছাত্র নেতার অভিযোগ ছিল গুটি কয়েক পার্টি নেতার বিরুদ্ধে। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানার পর এবার ঋতব্রত কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন গোটা দলকেই। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহঃ সেলিম এবং তাঁর ছেলে রাসেল আজিজের বিরুদ্ধে ঋতব্রত'র বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দলের মধ্যে তো বটেই রাজ্যের বাম রাজনীতিতেও 'সুনামি' এনেছিল। কলকাতা জেলা পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবাঞ্জন বাবুর বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তরুন সাংসদ। যার ফল, দল তাঁর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে জানিয়েছে, সিপিএমের আর কেউ নন ঋতব্রত ব্যানার্জি। "২১ বছরের সম্পর্ক। নাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হল", দলের কঠিন সিদ্ধান্ত জানার পর এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন একদা 'সিপিএমের সম্পদ' হিসেবে পরিচিত তরুণ ছাত্রনেতা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অনুশাসন এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দল তাঁকে বহিষ্কার করেছে। দলের এহেন কঠোর সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করেই নিজের স্বভাবজাত ভঙ্গিতে ফের সরব হচ্ছেন ঋতব্রত ব্যানার্জি। কোনও সমাবেশ কিংবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরেরে বৈঠকে নয়, ঋতব্রত আওয়াজ তুলছেন তাঁর 'নিজের প্লাটফর্ম', সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুক থেকে টুটার, ঋত আছেন ঋততেই। বাংলার জন্য কাজ করবেন, এই আত্মমন্ত্র নিয়েই নিজের হয়ে নিজের ঢাক পেটাতে শুরু করে দিয়েছেন বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা। 


- মহম্মদ সেলিম ধর্মের ভিত্তিতে সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য হয়েছেন
- মহম্মদ সেলিম দলের মধ্যে কোটারি চালাচ্ছেন
-  সীতারাম ইয়েচুরি সিপিএমের 'সংখ্যালঘিষ্ঠ সেক্রেটারি', প্রকাশ-বৃন্দা কারাতদের চাপে কার্যত কোণঠাসা দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক 
- বাংলাকে বরাবরই বঞ্চনা করেছে


এই সমস্ত প্রশ্নই দলের উদ্দেশ্যে রেখেছেন ঋতব্রত। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে ঋতব্রত পরিকলল্পনা করেই পার্টির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। অনকের মতেই, ঋতব্রত যে আর লাল ঝাণ্ডার পার্টিতে আগ্রহী নন, সেটা পরিষ্কার তাঁর 'সোশ্যাল' উপস্থিতিতে। উল্লেখ্য, ঋতব্রত ব্যানার্জি এখন #JaiHind #JoyBangla- এই দুই হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করছেন। সেখানে কোথাও উল্লেখ নেই সিপিএম, বাম কিংবা লাল ঝাণ্ডার।