নিজস্ব প্রতিবেদন: অমিত শাহের সভাস্থলে তৃণমূলের পোস্টার বিতর্কের সহ সমাধান বার করল বিজেপি নেতৃত্ব। রাস্তার দু'পাশ ঢেকে দেওয়া হল গেরুয়া সবুজ কাপড়ে। ফলে একদিকে যেমন ঢাকা পড়ল পোস্টার, তেমনই পোস্টারে হাতও দিতে হল না বিজেপিকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির সভাস্থলে তৃণমূলের পোস্টারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সাক্ষী থেকেছেন রাজ্যবাসী। শনিবার সকালে সেই বিতর্কে যদিও জল ঢালল বিজেপি। মেয়ো রোডে সভাস্থলের কাছে রাস্তার দু'পাশ গেরুয়া-সবুজ কাপড়ে ঢাকা হল। যার ফলে ঢাকা পড়ল তৃণমূলের পোস্টার। সভাস্থল থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত গোটা রাস্তা ঢেকে ফেলা হয়েছে কাপড়ে। 


শনিবার অমিত শাহের সভার আগে মেয়ো রোড চত্বর ব্যানার - হোর্ডিংয়ে ছেয়ে ফেলেছিল তৃণমূল। এর আগে জুনের শেষে অমিত শাহের সভা ও জুলাইতে মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভাতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। যা নিয়ে মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ততে তাতেও নিজেদের স্ট্রাটিজি বদলায়নি তৃণমূল। এবার তাই খাস কলকাতাতেও বিজেপি সভাপতির সভাস্থল ঢাকল তৃণমূলের ব্যানারে।


কোনওটায় লেখা 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লহ প্রনাম', কোনওটায় আবার 'বাঙালি বিরোধী বিজেপি দূর হঠো'। তৃণমূলের এহেন পোস্টারে অসৌজন্যের অভিযোগ তুলে শুক্রবার সরব হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতাদের দাবি, বিরোধী দলের সভাস্থলে এই ধরণের ব্যানার লাগানো প্ররোচনার নামান্তর। 


পুলিস ব্যবস্থা না নিলে আইন হাতে তুলে নিন, দলীয় কর্মীদের বার্তা বিজেপি নেতার


পালটা প্রতিক্রিয়া আসে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যা বিজেপিকে বেঁধেন। তিনি বলেন, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। তাই রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকবে এতে আপত্তির কী আছে? 


শনিবার সকালে রাস্তার দু'ধার কাপড় দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু হয়। ফলে ঢাকা পড়ে তৃণমূলের পোস্টারগুলি। বিজেপি নেতৃত্বের তরফে যদিও জানানো হয়েছে, সভাস্থলকে আরও ঝলমলে করে তুলতেই কাপড় দিয়ে রাস্তার দুধার ঘেরার সিদ্ধান্ত।