নিজস্ব প্রতিবেদন : এটিএম কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার। এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় দিল্লির গ্রেটার কৈলাস থেকে এক রোমানিয়ানকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিস। ধৃতের নাম সিলভিউ ফ্লোরিন স্পিরিদোন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস সূত্রে খবর, সিলভিউ ফ্লোরিন স্পিরিদোন সঙ্গীসাথীদের নিয়ে দিল্লির গ্রেটার কৈলাসে ভাড়া থাকছিল। সেখান থেকেই আজ সন্ধ্যায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিসের একটি দল। রীতিমতো নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার করা হয় স্পিরিদোনকে। তবে সাথীরা পলাতক। পুলিস সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সিলভিউকে চিহ্নিত করা হয়। দেখা যায় প্রধানত সকালের দিকে এরা এটিএম-এ ঢুকছে। সেইসব এটিএম-ই এই রোমানিয়ান গ্যাং বেছে নিত, যেখানে সকালের দিকে লোকজনের যাতায়াত বেশি হয়।


সেই অনুযায়ী আজ ফাঁদ পাতে কলকাতা পুলিসের একটি দল। আজ সকালে গ্রেটার কৈলাসের একটি এটিএম-এর কাছে ভোর ৫টা থেকে অপেক্ষা করতে থাকে কলকাতা পুলিসের একটি টিম। এদিকে ধুরন্ধর সিলভিউ সেখানে পুলিসের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরেই এটিএম কাউন্টার থেকে বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে অটোয় উঠে চম্পট দেয়। সিলভিউয়ের পিছু নেয় পুলিসের টিম। অটো ধাওয়া করতে শুরু করে পুলিস। এরপর গ্রেটার কৈলাস এলাকায় একটি বাড়িতে ঢুকে লুকিয়ে পড়ে সিলভিউ। তারপর সেখানে ডোর টু ডোর নক করে অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিস।


প্রসঙ্গত, কলকাতার পাশাপাশি দিল্লিতেও এটিএম প্রতারণা হয়েছে। শেষ ২৬ দিনে দিল্লিতে ২৩০টি এটিএম প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, ৩ বার ভারতে প্রবেশ করেছে সিলভিউ ফ্লোরিন স্পিরিদোন। প্রতিবার দেড় মাস করে থেকেছে। প্রথমবার এটিএম দেখেছে। দ্বিতীয়বার স্কিমার লাগিয়েছে। আর শেষবার এই ১৪ অক্টোবর ভারতে এসে টাকা তুলতে শুরু করে হ্যাকারের দল। সিলভিউ ফ্লোরিন স্পিরিদোন সহ বাকি তিনজনের প্রত্যেকেই টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে ঢুকেছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই বিলাসবহুল জীবনযাপন করত।


আরও পড়ুন, শিকলে বাঁধা মানসিক ভারসাম্যহীন ক্যানসার আক্রান্ত মেয়ে, NRS-এ হন্যে হয়ে ডাক্তারের খোঁজ বাবার


ফ্ল্যাটে ব্র্যান্ডেড দামি জামাকাপড়, চশমা, জুতো, মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিস। সিলভিউয়ের ফ্ল্যাট থেকে পুলিস উদ্ধার করেছে স্কিমিং ডিভাইস। সিলভিউ-ই ছিল পুরো চক্রের মাস্টারমাইন্ড। তার পরিকল্পনা মতোই এটিএম নির্দিষ্ট করে স্কিমিং ডিভাইস বসানো হয়। তারপর শুরু হয় টাকা তোলার পর্ব।