দুঃস্থ শিশুদের হাতে পুজোর জামা তুলে দিতে `শপিংয়ের আড়ালে কেয়ারিং` মেয়রপত্নীর
বিক্রির টাকা থেকেই দুঃস্থ মহিলা ও শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুজোর জামা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কয়েক মাস পরেই দূর্গাপুজো। এখন থেকেই পুজোর সাজের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। তা হলে মেয়রপত্নীও বা বাদ যাবেন কেন? শহরের এক শাড়ি বিপণিতে হাজির হলেন রুবি হাকিম। একাই। রীতিমতো বাছাই করে মেয়ের জন্য কিনলেন কুর্তি। আর নিজের জন্য় পছন্দ করলেন একটি শাড়ি। ফিরহাদ হাকিমের অজান্তেই চটজলদি কেনাকাটা সারলেন তিনি।
আরও পড়ুন : সাপের বিষ থেকে বাঁচার উপায় কী? বাংলাতেই তথ্য দেবে রাজ্যের নতুন অ্যাপ
পুজোর এত আগে হঠাৎ একা একা শপিং-এ কেন? আসলে, এ ক্ষেত্রে শপিং তো কেয়ারিং-ও। মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত এই বিশেষ বিপণি। দুই দিনের বিপণির বিক্রিবাটার সমস্ত টাকা সামাজিক কাজে ব্যবহৃত হবে। বিক্রির টাকা থেকেই দুঃস্থ মহিলা ও শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুজোর জামা। শুধু তাই নয়, দেওয়া হবে সাজের জিনিসও।
তবে, নিজের ও মেয়ের জন্য় কেনাকাটা করলেও মেয়রের জন্য কিছুই কিনলেন না রুবি হাকিম। কিনবেনই বা কী করে, বিপণিটিতে তো কেবল মহিলাদের পোশাক, শাড়ি ও গয়না মিলছে।
এক দিকে পুজোর কেনাকাটাও হল। অন্যদিকে একটি সামাজিক প্রচেষ্টার পাশেও দাঁড়ানো গেল। দুঃস্থ মহিলা ও শিশুদের পুজোর সাজের ব্যবস্থা হল।
কোনও নিমন্ত্রণ ছাড়াই মেয়রপত্নী কেনাকাটা করতে আসায় উৎসাহিত উদ্যোক্তারাও। বিপণিটির উদ্যোক্তাদের তরফে দীপান্বিতা গুপ্ত বলেন, "রুবি হাকিম আসায় আমরা খুব খুশি। এরপর আমরা ছেলেদের পোশাকও রাখব বলে ভাবছি।"