বিক্রম দাস: বিদেশ যাওয়ার পথে দমদম বিমানবন্দরে আটকানো হল রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। সন্তানদের নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিদেশ যাচ্ছিলেন। তাঁর দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। সেইসময়ই বিমানবন্দরে তাঁকে আটকানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আটকানোয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কারণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে, এই মর্মে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কী কারণে কেন আটকানো হল রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে? প্রথমে তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশ বা অর্ডার থাকাতেই তাঁকে আটকানো হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যায়। যদিও, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল। কিন্তু তারপরেও তাঁকে আটকানো হয় বিমানবন্দরে। পরে বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায় যে, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়রা ৪ জন ছিলেন। পাসপোর্টে ছাড়পত্র ছিল না। তাই অভিবাসন দফতর আটকে দেয়। এরপর ১০টা নাগাদ বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান রুজিরা। জানা যাচ্ছে, NSCBI থানায় অভিযোগ জানাবেন। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী অভিযোগ জানাবেন।


এই ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় তোপ দাগেন যে এই সবটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভয় তাঁদের কীভাবে গ্রাস করেছে, এটা তার একটা ভয়ংকর নিদর্শন। এর আগেও আমরা দেখেছি, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কীভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, তাঁর পরিবারকে কীভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। আজকে আবার সেই ন্যক্কারজনক ঘটনা। তাও আবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে লঙ্ঘন করে। একদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নবজোয়ার যখন জনপ্লাবনে পরিণত হয়ে খড়কুটোর মত বিজেপিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তখন তারা কখনও সিবিআই ডেকে অভিষেককে আটকে রাখার চেষ্টা করছে, কখনও তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করছে। এমনকি তাঁর ৩ বছরের পুত্রসন্তানকে পর্যন্ত তারা রেয়াত করেনি। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ন্যক্কারজনক ঘটনা।'


অন্যদিকে এই ঘটনায় বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাফ উড়িয়ে দেন তৃণমূলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্ব। তিনি বলেন, 'বিমানবন্দরে কোন কারণে কোন অফিসার কাকে আটকেছেন, তা দূর থেকে আমাদের বলা সম্ভব নয়। তাঁর যদি বিদেশে যাওয়ার আইনগত বৈধতা থাকে, তবে তিনি যাবেন, তাঁকে তো পৃথিবীর কেউ আটকাতে পারবে না। কিন্তু কেন আটকানো হয়েছে, তা জানি না। তবে প্রতিহিংসার রাজনীতি বিজেপির রাজনীতি নয়। এটা তৃণমূলের পথ। সেই জন্যই এরা এধরনের মন্তব্য করে। তবে হ্যাঁ এটা ঠিক যে জনজোয়ারে সত্যিই সব কিছু খড়কুটোর মত উড়ে যাচ্ছে! আজ যেমন বনগাঁয় বালক উড়ে গেল! তৃণমূলের এই জোয়ারকে যতক্ষণ পর্যন্ত না ভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ বাংলার মানুষের স্বস্তি নেই।'


আরও পড়ুন, শৌচগারে ফাটল বোমা, বিস্ফোরণে বনগাঁয় মৃত ১২ বছরের কিশোর!



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)