নিজস্ব প্রতিবেদন: অভিনয় এখন আর অগ্রাধিকার নয়। বরং মন দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজনীতি করতে চান সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। Zee ২৪ ঘণ্টার 'Crossfire' অনুষ্ঠানে এসে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের নতুন যুব সভানেত্রী। একইসঙ্গে বললেন,''দায়িত্ব দেওয়ার সঙ্গে কড়া নির্দেশও দিয়েছেন দলনেত্রী।''     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ভোটের আগে তৃণমূলে যোগদান। তার পর প্রার্থী। এখন যুব সভানেত্রীর মতো গুরু দায়িত্ব। কী ভাবছেন সায়নী (Saayoni Ghosh)? Zee ২৪ ঘণ্টার ডেপুটি এডিটর মৌপিয়া নন্দীর প্রশ্নে তৃণমূলের সায়নী (Saayoni Ghosh) বলেন, ''অবশ্যই গুরু দায়িত্ব। আগের বারও বলেছিলাম মন দিয়ে রাজনীতি করতে এসেছি। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আর্ম চেয়ার পলিটিক্স করেন বলে একটা ধারণা আছে। সেই ধারণাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। দল, সিনিয়র নেতৃত্ব   মনে করেছেন আমাকে দায়িত্ব দেওয়া যায়। আমি ওঁদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখব।'' 


   
২০২৪ সালের লক্ষ্যে সংগঠনকে তৈরি করতে হবে। তা ভালমতোই বোঝেন সায়নী (Saayoni Ghosh)। তাঁর কথায়,''নিজের মনে যুবশক্তিকে জায়গা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবারই আলাদা করে উল্লেখ করেন। আমিও যুব। আমার নিজের ৫০ বছর বয়স নয়। যুবদের চাহিদার কথা বলার জন্য, তাঁদের মনে পৌঁছনোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিনিয়রদের অভিজ্ঞতা ও যুবর আত্মশক্তি নিয়ে নতুনভাবে গড়ে তুলব। পথটা মসৃণ নয়। ৩ বছর সময় থাকলেও তা অনেক কম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য সৈনিক হিসেবে  মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করব। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেব।'' 


 


অভিনয় আর চালিয়ে যাবেন না সায়নী। বলেন,''আমি চাই না মনোযোগ বিভক্ত হয়ে যাক। খুব প্রয়োজন না পড়লে অভিনয় করব না। দারুণ চিত্রনাট্য থাকলে ভেবে দেখব। একশো কুড়ি শতাংশ দিয়ে এখন রাজনীতিই করব। ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে বড় দায়িত্বও আসে। অজান্তেই প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন এত বড় দায়িত্ব দিলেন। কাজেই বুঝতে পারছি ওঁর অনেক প্রত্যাশা আছে। এটা চ্যালেঞ্জিং। ফলে অর্ধেক সময় দিলে সাফল্য আসবে না।''  


 


কখন প্রথম জানতে পারলেন আপনি যুব সভানেত্রী হচ্ছেন? সায়নী জানান,''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন,প্রোমোশন হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওঁর জায়গায় উনি বললেন সায়নী। অবশ্যই বুঝতে পারলাম আমার নাম করেছেন। কড়া নির্দেশ দিলেন, অনেক বড় দায়িত্ব। সামনে থেকে সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে। নাম ধরে বললেন সায়নী এটা খুব বড় ও গতিশীল দায়িত্ব। সাবধানে কাজ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের যুব ইউনিটের দায়িত্ব তোমার হাতে দিলাম। সুপ্রিমো যা বলেছেন তাই করব। অন্যথা হবে না কোনওদিন।''


আরও পড়ুন- যুব সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা Abhishek-র, হলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক