নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধাননগরের মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে গেলেন সব্যসাচী দত্ত। সেখানে গিয়ে প্রত্যাশামতোই বিঁধলেন রাজ্য সরকারকে। তাঁর কটাক্ষ, ২১ জুলাইয়ের এলাহি আয়োজন চলছে। অথচ প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য পানীয় জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা নেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বিধাননগরের মেয়রের পদ থেকে বৃহস্পতিবার ইস্তফা দেন সব্যসাচী দত্ত। ইস্তফা দেওয়ার পরই হাজির হন ময়ূখ ভবনের সামনে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে হাজির হন রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক। সেখানে গিয়ে সব্যসাচী দত্ত বলেন,'দুঃখ হচ্ছে এনাদের ন্যূনতম পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি'। আপনি তো করতে পারতেন? সব্যসাচী দত্তের জবাব,'উপরতলা থেকে বারণ আছে। পদত্যাগের পরে এলাম। কারণ পদ থেকে তো কিছু করতে পারছিলাম না। পদত্যাগ করে আসাই বাঞ্ছনীয়।  শ্রমিকের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। কে রাখল কে তাড়াল, যায় আসে না'। 


শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম না সব্যসাচীর কটাক্ষ, শিক্ষকরা রাস্তায় আর মন্ত্রী-সচিবরা ঠান্ডা ঘরে বসে রয়েছেন। কেউ তো এদের ডেকে কথা বলতে পারেন। বিকাশভবন এখান থেকে হেঁটে গেলে আড়াই মিনিট।     
  


প্রসঙ্গত, গোটা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেতনবৃদ্ধি ও বদলির প্রতিবাদে সল্টলেকে ময়ূখ ভবনের সামনে অনশনে বসেছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। অষ্টম দিনে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষকদের আমরণ অনশন।আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবি, অন্যান্য রাজ্যে ৯৩০০ থেকে ৩৪,৮০০ টাকা বেতন পান প্রাথমিক শিক্ষকরা। অথচ বাংলায় তাঁদের পে স্কেল ৫৪০০ থেকে ২৫,২০০ টাকা।   


আরও পড়ুন- অসহিষ্ণুতা! মুসলিম হয়ে হিন্দুদের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় হুমকি ইশরত জাহানকে