নিজস্ব প্রতিবেদন : কলেজ বা হস্টেলে কোনও Ragging বা হেনস্থার ঘটনা ঘটেনি। সিঙ্গুরের মেধাবী ছাত্র ঋষিক কোলের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবার ও শিক্ষকের অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে সাফ জানালেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের প্রফেসর ডা সিলভার স্পষ্ট কথা, "এখানে কোনও Raging হয় না।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কলেজের তরফে বলা হয়েছে, "মাত্র দু’দিন হয়েছে ক্লাস করেছে। ওর যে কোনও সমস্যা ছিল, সেটা বোঝার জন্যও সময় পাওয়া যায়নি। কাউন্সেলিং করার সময় পাওয়া যায়নি। বাংলা মিডিয়াম থেকে অনেকে এখানে পড়াশোনা করে। সেটা কোনও সমস্যা নয়। আর পরিবারকে যে জানাব সে ক্লাস করছে না, তার জন্যও নির্দিষ্ট সময় লাগে। মৃত্যুটা অপ্রত্যাশিত।" প্রসঙ্গত, শুক্রবার হিন্দমোটর-উত্তরপাড়ার রেললাইনের মাঝে উদ্ধার হয় ঋষিক কোলের দেহ। আর তারপরই উস্কে ওঠে জল্পনা।


কেন আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিল ঋষিক? শুধু সহপাঠীদের মতো ইংরেজিতে চোস্ত কথা বলতে না পারার জন্য? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও 'ঘটনা' লুকিয়ে আছে? জোরালো হয় সন্দেহ। হস্টেলে ঋষিককে কোনওভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল কিনা? পরিবার থেকে শিক্ষক সকলেই সেই প্রশ্ন তোলেন। সিঙ্গুর মহামায়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস কুমান সিনহা দাবি করেন, ইংরেজিতে লেকচার শুনতে সমস্যা হয়ে থাকলেও, তারজন্য আত্মহত্যার মত চরম সিদ্ধান্ত ঋষিক নিতে পারে একবারও মনে হয়নি। বুধবার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ঋষিকের বাবা। কিন্তু তখনও বাবার কাছে ইংরেজি নিয়ে ঋষিক কোনও অভিযোগ করেনি বলে পারিবারিক সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন, কুকুরের ভয়ে মরণঝাঁপ খুদের! ছাদ থেকে কার্নিশে ধাক্কা খেয়ে পড়ল নীচে


যদিও পরিবারের অভিযোগকে নাকচ করে দিচ্ছে সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ। তবে এখনও ময়ানতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসা বাকি। রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিস। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে পুলিস। অন্যদিকে, হস্টেলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিস।