সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে সল্টলেকে কফিশপে ডাকাতিতে শনাক্ত ৩
কফি শপের পাশেই এডি ৮৫ নম্বর বাড়ির সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে ডাকাতির ছবি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সল্টলেকের কফি শপে ডাকাতির ঘটনায় এখনও কার্যত অন্ধকারে বিধাননগর পুলিস। এ ডি ব্লকের কফি শপে হানা দিয়েছিল কারা? সেই উত্তর খুঁজছে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ফুটেজে যে দুজনকে দেখা যাচ্ছে, তাদের চিনতে পেরেছেন কফি শপের কর্মীও। পুলিসের অনুমান, গোটাটাই নতুন কোনও গ্যাংয়ের কাজ। সূত্র পেতে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হয়েছে।
সল্টলেকের এডি ব্লকের কফি শপে হঠাতই ঢুকে পড়ে ৪ দুষ্কৃতী। তখন সবে ক্যাশ কাউন্টার খুলেছেন এক কর্মী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর হাত-মুখ বেঁধে ফেলে দুষ্কৃতীরা। বন্দুক দেখিয়ে চলে লুঠপাট। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ-ই পুলিসের একমাত্র ভরসা। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে দুই যুবককে। চার দুষ্কৃতীর দলের অন্তর্ভুক্ত এই দুজন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিস।
আরও পড়ুন, ভুয়ো সংস্থায় স্ত্রীর নামে লগ্নি! কলকাতায় সিবিআই কর্তা নাগেশ্বর রাওয়ের 'দুর্নীতি যোগ'
সিসিটিভি-র ফুটেজের সময়ও এক্কেবারে হুবহু মিলে যাচ্ছে ঘটনার সময়ের সঙ্গে। কফি শপের পাশেই এডি ৮৫ নম্বর বাড়ির সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে ডাকাতির ছবি। কফি শপের যে কর্মীকে বেঁধে রেখে লুঠপাট করা হয়, তাঁকেও ওই সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হয়। দুই যুবককেই চিনতে পেরেছেন ওই কর্মী।
সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এলেও অনেকটাই অন্ধকারে পুলিস। কারা এই দুষ্কৃতীরা? খালপাড় থেকে কফি শপের দিকে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। আর সেখান থেকেই পুলিসের অনুমান এটা নতুন কোনও দলের কীর্তি। কীভাবে কাজ হাসিল করেছিল দুষ্কৃতীরা? কোন পথে ঢুকেছিল তারা? কোথায় গা-ঢাকা দিল? উত্তর পেতে সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে চলেছে পুলিস। ঘটনার পুনর্নিমাণও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, ঘরের মধ্যেই ছিল 'মরণফাঁদ', খেলতে খেলতে অবুঝ শিশুর মর্মান্তিক পরিণতি
উত্সবের মরসুমে সল্টলেকে রাস্তার ওপর দোকান খুলতে না খুলতেই ডাকাতি। এই ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।