সম্প্রীতের মৃত্যু আঙুল তুলে দিল শিক্ষা ব্যবস্থার দিকেই!
স্কুলে শিক্ষকের লাগাতার নির্যাতন। তাতেই ফুরিয়ে গেল সম্ভাবনাময় একটি জীবন। ফেসবুকে সকলকে বিদায় জানিয়ে বিদায় নিল পশ্চিম পুঁটিয়ারির কিশোর। সম্প্রীতের মৃত্যু আঙুল তুলে দিল শিক্ষা ব্যবস্থার দিকেই।
ওয়েব ডেস্ক : স্কুলে শিক্ষকের লাগাতার নির্যাতন। তাতেই ফুরিয়ে গেল সম্ভাবনাময় একটি জীবন। ফেসবুকে সকলকে বিদায় জানিয়ে বিদায় নিল পশ্চিম পুঁটিয়ারির কিশোর। সম্প্রীতের মৃত্যু আঙুল তুলে দিল শিক্ষা ব্যবস্থার দিকেই।
১৮ বছর বয়স। স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি। সদ্যই ১৮-য় পা রেখেছিল সম্প্রীতও। গিটার হাতে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখত সেও। কিন্তু একটি মাত্র সিদ্ধান্তেই সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। বুধবার বাড়ি ফিরে শেষবার ফেসবুক পেজ লগ অন করে সম্প্রীত। বিদায় জানায় বন্ধুদের। তারপরই চিরবিদায়।
কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত?
সাফল্যের ইঁদুর দৌড়ে ফুরোয়নি সম্প্রীত। অভিভাবকের প্রত্যাশাও তাকে শেষ করেনি। অভিযোগ, সম্প্রীতকে মেরেছে তার শিক্ষক। প্রণবানন্দ বিদ্যাপীঠের অ্যাকাউন্টস টিচার প্রণব দত্ত। সম্প্রীত তাঁর কাছে প্রাইভেট টিউশন নিত না। সেটাই কি কারণ? সম্প্রীতের ওপর বারবার নেমে আসত শাস্তির খাড়া?
আরও পড়ুন- গুড বাই... কিশোরের আত্মহত্যার একমাত্র সাক্ষ্মী থাকল ফেসবুক
সম্প্রীতের বাবার অভিযোগ, শারীরিক বা মানসিক কোনও নির্যাতনই বাকি থাকত না সম্প্রীতের ওপর। একদিকে সম্প্রীত, অন্যদিকে প্রণব দত্ত। দু'জনের সম্পর্ক পৌঁছেছিল ব্যক্তিগত ঘৃণার স্তরে। স্কুলে রোজ অপমানিত হয়ে বাড়ি ফিরত সম্প্রীত। ব্লেড দিয়ে ফালাফালা করত প্রণব দত্তের লেখা বই। তাঁর নাম কেটে দিত। সম্প্রীতের মার বক্তব্য, ১৮ বছর বয়সে এই মারাত্মক স্নায়ুর চাপ নিতে পারেনি ছেলে। সম্প্রীতের ভঙ্গুর মনকে টুকরো টুকরো করে দিতে অ্যাকাউন্টস টিচারের খুব একটা অসুবিধা হয়নি। বুধবার রাতে সিলিংয়ের বন্ধনে বিদায় নিল সম্প্রীত। চূড়ান্ত জয় পেলেন শিক্ষক। হারল কে? সম্প্রীত? না হারল বোধহয় ছাত্র ও শিক্ষকের বিশ্বাসের সম্পর্কটাই।