অঞ্জন রায় 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে গেরুয়া হাওয়ায় অনেকেই ভেসে আসছেন পদ্মশিবিরে। শুরু হয়েছিল মুকুল রায়কে দিয়ে। তারপর মুকুলের হাত ধরে বাঁকুড়ার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, ভারতী ঘোষ ও শঙ্কুদেব পণ্ডারা ঢুকেছেন বিজেপিতে। প্রাক্তন তৃণমূলী নেতাদের নামে রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। এনিয়ে আপত্তি তুলেছিল সঙ্ঘ পরিবার। তবে অমিত শাহ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অন্য দল থেকে লোক ভাঙিয়ে আনতে হবে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদকও বার্তা দিয়েছেন, মন বড় করতে হবে। কিন্তু, এবার এক মহিলাকে দলে নেওয়া নিয়ে ঘোরতর বিরোধিতা করল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। 


ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে প্রার্থী করতে চাইছে রাজ্য বিজেপি। ওই মহিলাকে নিয়েই আপত্তি সঙ্ঘ পরিবারের। এই মহিলার 'তথাকথিত বন্ধু'র সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'মধুর' সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। জনমানসে প্রতিষ্ঠিত, ওই মহিলার কারণেই ক্ষমতা ত্যাগ করেছেন ওই নেতা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আরএসএস নেতার বক্তব্য, বাংলায় প্রতিটি সংসারে মহিলারা দুর্গা ও লক্ষ্মী। কারও সংসার ভাঙানো মহিলাকে ভাল চোখে দেখেন না আপামর বাঙালি। ওই নেতার সংসার ভেঙেছেন এই মহিলা। তাঁকে প্রার্থী করলে সঙ্ঘের সনাতনী ঐতিহ্যেই আঘাত লাগবে। একটা আসনে জয়লাভ করতে ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী কোনও বিষয়কে উত্সাহিত করা অনুচিত। 


 



অভিযোগ উঠেছে, শুধু ক্ষমতাই নয়, মহিলা বন্ধুর জন্য স্ত্রী-সন্তানদেরও ত্যাগ করেছেন ওই নেতা। আর সংসার ভাঙায় অভিযুক্ত এমন মহিলাকে প্রার্থী করা নিয়ে বেঁকে বসেছে সঙ্ঘ পরিবার। বিজেপির অন্দরেও উঠছে প্রশ্ন, ওই মহিলাকে প্রার্থী করলে আঘাত খেতে পারে দলের ভাবমূর্তি। সূত্রের খবর, শঙ্কুদেব পণ্ডা ও ভারতী ঘোষের অন্তর্ভূক্তির পর হতাশ বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন তাঁরা। তবে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে ওই মহিলা প্রার্থী করা নিয়ে কোনওরকম আপসে নারাজ সঙ্ঘ নেতৃত্ব। দিল্লির নেতাদের কাছে বার্তা চলে গিয়েছে, সংসার ভাঙানো মহিলা নৈব নৈব চ! চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা নিয়ে দিল্লি নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই এখন দেখার।  


আরও পড়ুন- আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন, বললেন মমতা