সারদাকাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যেই সামনে আসে সারদা কেলেঙ্কারি। এই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর। ইডি থেকে সিবিআই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার সাঁড়াশি তল্লাসির জেরে ক্রমশ দেওয়ালে পিঠ ঠেকছে তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রীর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য সরকারের সারদা তদন্ত নিয়ে অভিযোগ ছিল বিভিন্ন মহলের। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই । আলাদাভাবে তদন্ত করছে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই সামনে এসেছে শাসকদলের একাধিক নেতা,মন্ত্রীর নাম। কাদের কাদের জেরা করেছে ইডি কিংবা সিবিআই। দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা।


অর্পিতা ঘোষ
বালুরঘাটের তৃণমূল সাংসদ। সুদীপ্ত সেনের একটি টিভি চ্যানেলের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ছিলেন অর্পিতা ঘোষ।এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর তাঁকে দুদফায় জেরা করে।


সৃঞ্জয় বসু
রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ। সৃঞ্জয় বসুর সংবাদপত্রের সঙ্গে সারদা গোষ্ঠীর একটি টিভি চ্যানেলের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়। ইডির জেরার মুখে পড়েন সৃঞ্জয় বোস।


আহমেদ হাসান ইমরান
রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ। সুদীপ্ত সেনের দুটি সংবাদপত্র আজাদ হিন্দ ও কলমের সম্পাদক ছিলেন আহমেদ হাসান ইমরান। খবরের কাগজে সারদার লগ্নি নিয়ে তাঁকে জেরা করে ইডি।


রজত মজুমদার
রাজ্য পুলিসের প্রাক্তন ডিজি। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন এই পুলিসকর্তা  গত লোকসভা নির্বাচনে বীরভূমে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন।  সারদার নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসাবে মাসে দশ লক্ষ টাকা বেতন পেতেন তিনি। ইডি ও সিবিআইয়ের জেরার মুখে এই প্রাক্তন পুলিসকর্তা।


বাপি করিম
ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক । সিবিআইয়ের ম্যারাথন জেরার মুখে বাপি করিম।  সিবিআই সূত্রে খবর, যে সমস্ত প্রশ্নের মুখে বাপিকে পড়তে হচ্ছে, তার বেশিরভাগই মন্ত্রী  মদন মিত্র সম্পর্কিত।


কুণাল ঘোষ
রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ। সারদা কাণ্ডে পুলিস তাকে গ্রেফতার করে।  সুদীপ্ত সেনের মিডিয়া ব্যবসা দেখভাল করতেন তিনি।


শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়
বস্ত্রমন্ত্রী। বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সুদীপ্ত সেনকে ল্যান্ডমার্ক সিমেন্ট কারখানা বিক্রি করেন।


মিঠুন চক্রবর্তী
তৃণমূল সাংসদ। সারদা গোষ্ঠীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার।


আসিফ খান
প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। পেশায় ব্যবসায়ী। পিডিসিআই থেকে তৃণমূলে যোগ। তৃণমূলের উত্তর প্রদেশের পর্যবেক্ষক। সুদীপ্ত সেন ফেরার হওয়ার কলম পত্রিকায় লগ্নি করেন।


দেবেন বিশ্বাস
তৃণমূল নেতা। সারদার নিরাপত্তা বিভাগের উপদেষ্টা ছিলেন।


সারদাকাণ্ডে  একের পর  এক নেতা,মন্ত্রী ও সাংসদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় ক্রমশই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের।