নিজস্ব প্রতিবেদন : "বিজেপি নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি যোগ রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তাই ইমরান খান যা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে তাই বলেন।" ফিরহাদ হাকিমের 'পাকিস্তানের সঙ্গে বিজেপির যোগসাজশ' মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এভাবেই পাল্টা তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। বলেন, "কে বলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে ভোট? কে বলেছে এই রাজ্যে মিনি পাকিস্তান বানাব? জবাব দিক তৃণমূল।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন তৃণমূল নেত্রী (Mamata Banerjee)। দেশজুড়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে গণভোটের দাবিও করেছেন। এমনকি গণভোটে হারলে নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে বলে চ্যালেঞ্জও ছুঁড়েছেন মমতা। যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজনৈতিক মহল।


এরপর আজ তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মদিনে ফের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দলের ২২ তম জন্মদিনে বিজেপিকে একহাত নিয়ে পুরমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসাজশ আছে বিজেপির! যারপরই পাল্টা তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন।


একইসঙ্গে দূরপাল্লার ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতারও জবাব দেন তিনি। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই ভাড়া বেড়েছে দূরপাল্লার ট্রেনের। সাধারণ দূরপাল্লার ট্রেনের নন-এসি স্লিপার, দ্বিতীয় শ্রেণি ও প্রথম শ্রেণিতে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে প্রতি কিলোমিটারে ১ পয়সা।  এক্সপ্রেস ও মেল ট্রেনের নন-এসির স্লিপার, দ্বিতীয় শ্রেণি ও  প্রথম শ্রেণিতে বেড়েছে কিলোমিটারপিছু ২ পয়সা।  অন্যদিকে, এক্সপ্রেস ও মেল ট্রেনের বাতানুকুল শ্রেণির চেয়ার কার, টু-টিয়ার, থ্রি-টিয়ার ও প্রথম শ্রেণিতে ভাড়া বাড়ছে প্রতি কিলোমিটারে ৪ পয়সা। নতুন বছরের প্রথম দিনে বেড়েছে ভর্তুকিহীন গ্যাসের দামও।


আরও পড়ুন, কে থাকছেন, কে যাচ্ছেন? একুশের লক্ষ্যে রাজ্য কমিটিতে ব্যাপক রদবদলের পথে BJP কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব!


দূরপাল্লার ট্রেনের ভাড়া, গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। যার জবাবে সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) বলেন, "আগে বিদ্যুতের দাম কমানো হোক। তারপর গ্যাস, রেলভাড়া নিয়ে কথা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, "এই রাজ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বিদ্যুতের। বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো এরজন্য তৃণমূলকে টাকা দেয়। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। সব আমরা প্রকাশ করব।"