নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার' প্রকল্পকে চাঁছাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, "ভালো বলেছে। মরণকালে হরিনাম। এত দিন সরকার কি ছিলো আকাশে? আকাশ থেকে নেমে দুয়ারে যেতে যেতে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে। আমরা বলছি, দুয়ারে দুয়ারে গেলে, কাটমানির হিসাব চাইবেন। শিল্পের কী হল? আইনশৃঙ্খলার এই হাল কেন?"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত এদিন বাঁকুড়ার খাতড়ায় প্রশাসনিক জনসভা থেকে 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার' নামে নয়া প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নয়া এই প্রকল্পের আওতায় আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাবে কাজ। চলবে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিদিন বেলা ১২১টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত রাজ্যের ব্লকে ব্লকে প্রশাসনের তরফে ক্যাম্প করা হবে। 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার' প্রকল্পে মানুষ প্রশাসনের কাছে যে অভাব, অসুবিধার কথা তুলে ধরবে, তা সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করতে হবে। মানুষ যা চাইবে, তা তত্ক্ষণাত্ মানুষকে দিতে হবে। যদি সেইসময় প্রশাসনের হাতে সেই সুযোগ না থাকে, তবে তালিকা তৈরি করতে হবে। জনপরিষেবা সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির সুযোগ-সুবিধা আরও বেশি করে মানুষকে পাইয়ে দিতে হবে। 


শুধু 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার' প্রকল্পকে নয়, সায়ন্তন বসু এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের স্কিমে চাকরি নিয়ে যে মন্তব্য করেন, তাঁকেও কটাক্ষ করেন। এদিন খাতড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে বেকারত্ব ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তোপ দাগেন, কেন্দ্র বিভিন্ন প্রকল্পের নামে নিয়োগ করছে। তারপর যেই সেই প্রকল্প শেষ হয়ে যাচ্ছে, তখন ছেলেমেয়েরা কাজ হারাচ্ছে। বেকার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এরাজ্যে কারও বেতন, পেনশন বন্ধ হয়নি। রাজ্যের স্কিমে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের কারও চাকরি নষ্ট হয়নি বলে এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। 


পাশাপাশি, আরও বলেন, রাজ্য সরকার চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানো হয়েছে। জেনারেল প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৪০ বছর, ওবিসি ৪৩ বছর, তফশিলি জাতি-উপজাতির ক্ষেত্রে ৪৫ বছর করা হয়েছে। বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়েছে তৃণমূল সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়ায় সায়ন্তন বসু বলেন, "চাকরি নিয়ে যা  বলেছেন, ঘোড়ায় হাসবে।"


আরও পড়ুন, দূরত্ব ঘোচাতে শুভেন্দুর সঙ্গে আজ ফের বৈঠকে সৌগত, কটাক্ষ সায়ন্তনের