শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেট্রো স্টেশনে দুর্ঘটনা ও আত্মহত্যা রুখতে আগেই স্ক্রিন ডোর লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ। অবশেষে শুরু হল সেই স্ক্রিন ডোর বসানোর কাজ। সেক্টর ফাইভ স্টেশনে স্ক্রিনডোর তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে। সেই ছবি ধরা পড়ল ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায়। পুজোর আগেই সেক্টর ৫ থেকে ‌যুবভারতী স্টেডিয়াম প‌র্যন্ত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ।


কী এই স্ক্রিন ডোর?
বর্তমান কলকাতা মেট্রোয় মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যার জেরে বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। গন্তব্যে পৌঁছতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় ‌যাত্রীদের। সেই সমস্যার সমাধানে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে থাকবে স্ক্রিন ডোর। এই প্র‌যুক্তিতে প্ল্যাটফর্মের কিনারে থাকবে একটি স্বচ্ছ কাচের দেওয়াল। তাতে ট্রেনের কামরার মাপ অনুসারে বিভিন্ন জায়গায় থাকবে দরজা। ট্রেন এসে ঠিক ওই দরজার মুখে দাঁড়াবে। এর পর ট্রেনের দরজা ও প্ল্যাটফর্মের দরজা খুলবে একসঙ্গে। ‌যাত্রীদের ওঠা নামার পর ‌ফের দু'টি দরজা বন্ধ হবে একই সঙ্গে। এর পর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে ‌যাবে ট্রেনটি।


বিষয়টি সহজ ভাবে বোঝার জন্য অটোমেটিক লিফ্ট বা এলিভেটরের উদাহরণ দেওয়া ‌যেতে পারে। লিফটের ক্ষেত্রে ‌যেমন নির্দিষ্ট তলে পৌঁছনোর পর লিফটের দরজা ও সেই তলে থাকা দরজাদু'টি একই সঙ্গে খোলে ঠিক তেমনভাবেই কাজ করবে এই প্র‌যুক্তি। শুধু লিফ্টের ক্ষেত্রে একটি মাত্র দরজা থাকে। এক্ষেত্রে এক সঙ্গে খুলবে অনেকগুলি দরজা।


পুজোর আগেই চালু হয়ে যাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। প্রাথমিকভাবে সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত চলবে মেট্রো। এর মধ্যে থাকবে ৬টি স্টেশন।


এই স্ক্রিন ডোরের ফলে কেউ কোনওভাবেই আর লাইনের দিকে এগোতে পারবেন না। এর ফলে মেট্রোয় দুর্ঘটনা ও আত্মহত্যা রোখা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী ইস্ট-ওয়েস্ট কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ভারতে একমাত্র দিল্লির মেট্রোর কিছু অংশে এই ব্যবস্থা  রয়েছে।


আরও পড়ুন, যানজট কাটাতে বিমানবন্দর ১ নম্বর থেকে আড়াই নম্বর প‌র্যন্ত তৈরি হবে উড়ালপুল


কীভাবে কাজ করে এই স্ক্রিন ডোর? দেখুন ভিডিওতে-